Saturday, July 27, 2019

রাস্তায় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া: একে অন্যকে ‘ছেলেধরা’ বলে গণধোলাই খেলেন উভয়েই!


হাসান ব্লগঃ



স্বামী-স্ত্রী রিকশায় উঠেছেন। সাথে ছিলেন স্বামীর এক বন্ধুও। তিনজনকে নিয়ে যখন রিকশাটি চলছিল তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লাগে ঝগড়া। এক পর্যায়ে তা তুমুল আকার ধারণ করে। স্ত্রী অভিযোগ করেন, তিনি শুনেছেন তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। স্বামী অস্বীকার করছিলেন সেটি। এ নিয়েই বাঁধে বিপত্তি।
স্ত্রী যখন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না তখন লাফ দিয়ে রিকশা থেকে নেমে ‘ছেলেধরা ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করে উঠলেন। রিকশা থামিয়ে নামলেন স্বামীও। তিনিও স্ত্রীকে ইঙ্গিত করে পাল্টা ‘ছেলেধরা ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করলেন। ততক্ষণে আশপাশে থাকা মানুষরা দৌড়ে এগিয়ে এলেন। কেউ স্ত্রীর দিকে কেউবা স্বামীর দিকে। পথচারীদের যার কাছে যাকে ‘ছেলেধরা’ মনে হয়েছে তার উপরই হামলে পড়লেন। বাদ পড়লেন না রিকশায় থাকা স্বামীর নিরীহ বন্ধুটিও!
জনতা মিলে তিনজনকে এক চোট গণধোলাই দেয়ার পর পুরুষদ্বয় কোনোমতে পালিয়ে বাঁচলেন। স্ত্রী তানিয়াকে পুলিশ এসে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মার খাওয়ার সময় তানিয়া বারবার বলছিলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে, আমি ছেলেধরা না।’ কিন্তু জনতা তার কথায় কান দেয়নি।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে নয়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
শ্রীপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বেড়াইদেরচালা গ্ৰামের মুক্তিযোদ্ধা এবিএম তাজউদ্দিনের মেয়ে তানিয়া। তানিয়ার স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটির এক সময় এলাকার স্থানীয়রা এসে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে দু‘জনকে পিটিয়ে আহত করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার এসআই আমিনুল হক জানান, এ ঘটনায় তানিয়াকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

hasanblog/talenthouse24

ডেঙ্গুতে ঢাবি ছাত্রের মৃত্যু : ২২ ঘণ্টায় স্কয়ারে বিল পৌনে ২ লাখ

ডেঙ্গুতে ঢাবি ছাত্রের মৃত্যু : ২২ ঘণ্টায় স্কয়ারে বিল পৌনে ২ লাখ



ছবি : সংগৃহীত
হাসান ব্লগ



ঢাবি প্রতিনিধি :
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের এমবিএ’র শিক্ষার্থী ফিরোজ কবীরের মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ফিরোজ। এদিকে চিকিৎসাকালীন ২২ ঘণ্টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফিরোজের বিল নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
মাত্র ২২ ঘণ্টায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৪ টাকার বিলকে সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও মনগড়া বলে দাবি করেছেন অনেকেই।
জানা যায়, স্কয়ার হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
তারা প্রমাণ করেন হাসপাতালের বিলটি বানোয়াট এবং মনগড়া। ওষুধের নামে ইচ্ছেমতো বিল ধরা হয়েছে।  রক্তে ক্রসম্যাচ করা না হলেও বিল বানানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে ইচ্ছেমতো বিল বসানো হয়েছে।
এ ঘটনায় স্কয়ার হাসপাতালের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কয়ার হাসপাতালকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রেশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ফিরোজকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২৫ জুলাই রাত ১১টা ২২ মিনিটে।  ফিরোজ মারা যান ২৬ জুলাই রাত ৯টা ১০ মিনিটে। ২২ ঘণ্টারও কম সময়ে বিল এসেছে ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
রক্তে ক্রসম্যাচ দেখানো হয়েছে যেটা হাসপাতালে করা হয়নি। ওষুধ বাবদ দেখানো হয়েছে ৩২ হাজার টাকা।  অথচ ডাক্তার বলেছেন স্যালাইন এবং ঢাকা মেডিকেলের নরমাল কিছু ওষুধের কথা যা সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা হতে পারে।
এ বিষয়ে স্কয়ার হাসপাতালে বাবার ফোন করলেও তারা কথা বলেননি।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ফিরোজকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ফিরোজকে স্কয়ার হাসপাতালে পাঠায়। শুক্রবার (২৬ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফিরোজ।
হাসান ব্লগ/hasanblog


ঘরেই বানান ডেঙ্গু মশা তাড়ানোর ওষুধ

ঘরেই বানান ডেঙ্গু মশা তাড়ানোর ওষুধ


ছবি : সংগৃহীত
হাসান ব্লগ/ talenthouse24.

দেশে বর্তমানে এক আতঙ্কের নাম ডেঙ্গুজ্বর। যা মহামারির আকার ধারণ করার মত। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর মতে ২৫ জুলাই পর্যন্ত এ রোগে মৃতের সংখ্যা ৩২ ছুঁয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত জনমানুষের জন্য ডেঙ্গু মশা তাড়ানোর ওষুধ বানানোর কথা জানালেন ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠিত লেখক ও গবেষক রবিশঙ্কর মৈত্রী।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) রবিশঙ্কর মৈত্রী নিজেস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মশা তাড়ানোর ওষুধ তৈরীর পদ্ধতি তুলে ধরেন। সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
‘কীভাবে মশা তাড়ানোর ওষুধ বানাবেন?’
‘গতকাল আলেসের পাখিবাগানে মাদাম ফেদেরিকের কাছ থেকে আমরা মশা তাড়ানোর ওষুধ তৈরি করা শিখলাম। বলা যায়--শিখলাম এবং বানালাম।’
‘ফ্রান্সেও মশা হয়, তবে তা শুধুই জুন থেকে আগস্ট মাসে এবং সেই মশা বাগান ছাড়া খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। তবু এ দেশে সচেতনার শেষ নেই।’




‘এবারে কাজের কথায় আসি। নিম ফল থেকে তেল হয় জানতাম, কিন্তু সেই নিম তেল যে ফ্রান্সেও পাওয়া যায় জানতাম না। যে কোনো ধরনের মশা থেকে রক্ষা পেতে আসুন খুব সহজেই বানিয়ে নিই মশামুক্তির ক্রিম।’
‘ছোট্ট একটি কৌটা বা কাচের বয়াম নিন। একটি মোমবাতি থেকে দুশো গ্রাম মোম গুঁড়ো করে নিয়ে কৌটায় বা কাঁচের বোতল বা বয়ামে রাখুন। এবার ত্রিশ মিলি নিম তেল এবং ত্রিশ মিলি গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন, সঙ্গে পঞ্চাশ মিলি জলও পাত্রটিতে ঢেলে দিন। একটি গামলায় এক লিটার পানি দশ মিনিট ধরে গরম করুন। এবার গরম পানিতে নিম তেল মোম ও পানিভর্ত্তি পাত্রটি বসিয়ে রাখুন। লক্ষ করুন পাত্রমধ্যে মোম গলছে কিনা। যদি না গলে তাহলে হামলার পানি আরো একবার গরম করুন।’
‘গরম পানির গামলা থেকে সাবধানে নিম, তেল, গ্লিসারিন, মোম আরো পানি মেশানো পাত্রটি তুলে এনে টেবিলে রাখুন। পাঁচ সাত মিনিট পর পাত্রের মধ্যে লেবুর রস পাঁচ ফোঁটা এবং যে কোনো পারফিউম বা সুগন্ধি পাঁচ ফোঁটা ঢেলে দিন। এবার ছোট্ট একটি চামচ দিয়ে পাত্রের মিশ্রণটি পাঁচ সাত মিনিট নাড়তে থাকুন। দেখুন মশা তাড়ানোর ক্রিম তৈরি হয়ে গেছে। একটু মন্দ গন্ধযুক্ত হলেও সামান্য একটু ক্রিম হাতে পায়ে মেখে নিন, মশা আপনার ধারেকাছেও ভিড়বে না, ডেঙ্গু হবার ভয়ও পেতে হবে না। মশা তাড়ানোর ক্রিম ফ্রিজে অথবা অপেক্ষাকৃত কম তাপমাত্রায় রাখতে হবে। তৈরির দিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত এই ক্রিম ব্যবহার করা যাবে।’




এদিকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) তার আর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে রবিশঙ্কর মৈত্রী জানান, ‘শুধু এডিস মশা নয়, কোনো মশা মাছিই আপনার শরীরে বসবে না যদি আপনি নিম পাতার পেস্ট অথবা নিম সাবান গায়ে মাখেন। যতোক্ষণ পর্যন্ত আপনার শরীরে নিমের গন্ধ থাকবে ততোক্ষণই আপনি মশা মাছি মুক্ত থাকবেন।’
‘কদিন আগে আমি মশা-প্রতিরোধী ক্রিম বানানোর সহজ পদ্ধতি তুলে ধরেছিলাম, খুব অল্প সংখ্যক বন্ধুই তা গ্রহণ করেছিলেন। আমরা খুব সহজে ভালো কিছু গ্রহণ করি না, ভালো জিনিশ নেয়ার ইচ্ছে তখনই জাগে, যখন আমাদের সামনে মৃত্যু এসে দাঁড়ায়।’
‘আমরা জানি, তবুও বলি-- জমেথাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা জন্ম নেয়। নিজেদের চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে, ভাঙা কৌটা ডাবের খোলা ইত্যাদি যেখানে সেখানে ফেলে না দিলেই তো আমরা এডিস মশার জন্মরোধ করতে পারি।’
‘ঘরের কোণায় কোণায় নিম পাতা ছড়িয়ে রাখুন-- মশা মাছি ঘরে ঢুকবে না।’
ঘরের বাইরে গিয়েও তো আপনি মশার কামড় খেতে পারেন। খেতে পারেন কি, আপনাকে তো রোজই কোনো না কোনো জায়গা থেকে মশা কামড়ায়।
তিনি আরো বলেন, ‘সবাই মিলে সচেতন না হলে পুরো দেশই ডাস্টবিন হয়ে যাবে, ফলে মশা মাছি সহ সকল প্রকার পোকামাকড়ের নিরাপদ আবাসন তৈরি করব?’
‘আসুন আমরা নিজেরাই উদ্যোগী হই, কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দিকে চেয়ে না থেকে কাজ শুরু করি। দেশকে প্লাস্টিকমুক্ত করি, দেশকে সকল প্রকার জঞ্জাল ও ময়লামুক্ত করে অকালমৃত্যুকে রুখে দিই।’


হাসান ব্লগ/ talenthouse24.

গুজব শেয়ার দিলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে: র‌্যাব মহাপরিচালক



হাসান ব্লগঃ 
স্যোশাল মিডিয়ায় কেউ গুজব শেয়ার দিলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ হবে হুঁশিয়ারি করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, স্যোশাল মিডিয়ায় কেউ গুজব ছড়ালে তাৎক্ষণিক কেউ বিশ্বাস করে তা শেয়ার দেবেন না। না জেনে, না শুনে এবং চেক না করে গুজব শেয়ার দিলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে।
আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা-২০১৯ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিএসইসি ভবনে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ইউনিফর্ম পরিহিত পোশাকের চেয়ে দিগুণ থাকবে সাদা পোশাক পরিহিত র‌্যাব। এ ছাড়া প্রতিটি খিত্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে। পাশাপাশি হেলিকপ্টার, নদীতে বোট, রাস্তায় জিপ এবং সোটরসাইকেলে টহল দেবে র‌্যাব।
এক বছর ধরে বিভেদ এবং মতভেদ থাকার কারণে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। এ কারণে, এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশি সতর্কাবস্থায় থাকবে বলে জানান বেনজীর আহমেদ।
hasangblog/ talenthouse24

Sunday, July 21, 2019

ফেস এপস (FaceApp) দেখেনিন জাতিয় দলের ক্রিকেটাররা কে বৃদ্ধ হলে কেমন হবে দেখতে




হাসান ব্লগঃ 


বয়স হলে বিরাট কোহলিকে দেখতে কেমন হবে? মনে প্রশ্ন এসেছে নিশ্চয়ই৷ নতুন জনপ্রিয় অ্যাপ ফেস-অ্যাপের মাধ্যমে এবার সামনে এল ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের বয়স্ক হওয়ার ছবি৷ ছবিটি দেখলে বহু বিরাট-ভক্তের মোহভঙ্গ হবেই! Photo Courtesy: Face App




 নিউজিল্যান্ডের ট্র্যাজিক হিরো উইলিয়ামসন৷ তাঁর বয়স হলে একই রকম স্নিগ্ধভাব ধরা পড়বে চোখে মুখে৷ Photo Courtesy: Face App



 দেখুন মালিঙ্গাকে৷ সাদা দাড়িতে তাঁর গাল গিয়েছে ঢেকে৷  তিনি রয়েছেন জার্সি গায়ে! Photo Courtesy: Face App



জিমি নিশানকে দেখুন তো৷ মনে হচ্ছে কি তাঁর বয়স হয়েছে? কি চিনতে পারছেন তো? Photo Courtesy: Face App



এবার দেখুন ক্রিস গেইলকে৷ দোর্দন্ড প্রতাপ এই তারকা ক্রিকেটারের বয়স তো হবেই৷ তখন তাঁকে দেখতে কেমন হবে, তারই ঝলক মিলল এই নতুন অ্যাপের মাধ্যমে৷ কি চিনতে পারছেন তো?   Photo Courtesy: Face App



দেখে নিন রশিদ খানকে৷ এই বিশ্বকাপে তো তাঁর যৌবন ধরা পড়েছিল৷ কিন্তু ফেস অ্যাপে বৃদ্ধ রশিদকে দেখে কি খারাপ লাগছে?  কি চিনতে পারছেন তো? Photo Courtesy: Face App  



এবার দেখে নিন ওয়ার্নারের ছবি৷ বয়স বাড়লেও, তাঁকে দেখে খুব একটা বোঝার উপায় নেই! নতুন এই অ্যাপে এখন চলছে বয়স্ক হওয়ার প্রতিযোগিতা৷ এই অ্যাপের মাধ্যমে বুড়ো বয়সে কাকে কেমন দেখতে হতে পারে, তার একটা আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে! Photo Courtesy: Face App




hasangblog/talenthouse24


Saturday, July 20, 2019

ফেস এপস (face app) আসল ঘটনা



হাসান ব্লগঃ
ফেস এপসঃ
আচ্ছা ভাবুনতো আপনি তাগরা জুয়ান একটা ছেলে আপনার তারুণ্য এখন আপনার মনে দোলা দিচ্ছে  এমন সময় যদি কেউ আপনাকে বয়স্ক ,বুড়া, মাড্ডাই ইত্যাদি বলে তা কেমন টা লাগবে আপনার। নিশ্চই আপনার সামনে যা আছে তা দিয়েই তাকে পেটানোর জন্য প্রস্তুত হবেন।

কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয় যে বুড়ো হলে আপনাকে কেমন দেখাবে তা কি দেখতে চান ? তা হলে হয়তো আপনার মনটা খুবকরে একবার দেখতে চাইবে সেই শেষকালের অবস্থাটি। হ্যা আপনি চাইলেই এখন আপনার ছোট কালের অথবা বৃদ্ধ বয়সের চেহারাটা বর্তমানের ঘারে বসেই দেখে নিতের পারেন। আরএই কাজটি করার জনয় রাশিয়ার এক কোম্পানি আরটিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স সম্পন্ন একটি এপস তৈরি করেছেন যার নামে হল ফেস এপস (Face Apps). আপনার যে কোন একটা ছবি সিলেক্ট করে দিলেই এপস টি নিজে থেকেই আপনার বুড়ো বয়সের চেহারা, বাল্যকালের চেহারা,এমনকি মেয়ে হলে আপনার চেহারা দেখতে কেমন হবে তা তৈরি করে দিবে।



গত কয়েক দিন থেকে শোসাল মিডিয়া ও নেট দুনিয়ায় এ নিয়েই চলছে রসিকতা । কিন্তু পাশাপাশি নেট-দুনিয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্কও। অনেকেই বলছেন, নির্মল আনন্দের ‘ফাঁদে’ ওই অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে ব্যবহারকারীর ছবি ও তথ্য চলে যাচ্ছে। রাশিয়ার একটি সংস্থার তৈরি ওই অ্যাপ তথ্য নিয়ে কী করতে পারে, তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।ইন্ডিয়ান স্কুল অব এথিক্যাল হ্যাকিংয়ের অধিকর্তা সন্দীপ সেনগুপ্তের মতে, অ্যাপে বহু মানুষ নিজের ছবি দিয়েছেন। সেগুলি সংস্থার সার্ভারে রয়েছে। এখন বহু ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর মুখের ছবি দিয়ে খোলে (ফেস রেকগনিশন পাসওয়ার্ড)। ফলে ওই সংস্থার কাছে কিন্তু পাসওয়ার্ডও চলে যেতে পারে। তা ছাড়া, এমন অ্যাপগুলিকে বহু ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নজরদারির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এত ব্যবহারকারীর ছবি এবং তথ্য ওই অ্যাপের সার্ভারে জমা রয়েছে। তা দিয়ে তাঁদের গতিবিধি এবং মনোভাবে নজর রাখা সম্ভব। সন্দীপবাবুর কথায়, ‘‘ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ভয় খোদ মার্ক জ়ুকারবার্গেরও রয়েছে। তাঁর নিজের ল্যাপটপের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন বন্ধ করে রাখার ছবি তো নেট-দুনিয়ায় ভাইরাল!’’ সন্দীপের মতে, সরকারি এবং বেসরকারি দু’দিক থেকেই তথ্য সংগ্রহের প্রতিযোগিতা চলছে। আগামী দিনে যা আরও বড় আকার নেবে।

সাইবার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই অ্যাপ ব্যবহারের আগে অনেকেই শর্তাবলী খুঁটিয়ে পড়েন না। তার ফলে অজান্তেই সেই সব শর্তাবলী মেনে নেন। শর্ত অনুযায়ী, ওই অ্যাপ বিনামূল্যে ব্যবহারের বিনিময়ে ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, ফেসবুকে তাঁর বন্ধুদের তথ্যও তুলে দিচ্ছেন সংস্থার সার্ভারে। ওই অ্যাপে তিনি যত ছবি ব্যবহার করছেন, সেগুলিও সংস্থার কাছে চলে যাচ্ছে। বস্তুত, ২০১৭ সালে এক বার এই অ্যাপ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছিল। ফের নতুন ভাবে অ্যাপটি জনপ্রিয় হওয়ায় আবার বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের মতে, এই সব অ্যাপ সাময়িক আনন্দ দেয়। কিন্তু তার বিনিময়ে ব্যক্তিগত তথ্য বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। পরবর্তীকালে এই তথ্য কী ভাবে কাজে লাগানো হবে, তা কিন্তু কেউ জানেন না। বিভাসবাবুর কথায়, ‘‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিল পাশ হওয়ার পরে এই ধরনের তথ্য ব্যবহার কিন্তু আইনি এক্তিয়ারে চলে আসবে। তথ্যের অবৈধ ব্যবহার হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তাদের জেল ও জরিমানা হতে পারে।’’ যদিও প্রশ্ন উঠছে, বিদেশি সংস্থার কাছে এই তথ্য চলে যাওয়ার পরে তথ্য ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা দেখার উপায় কী?


সাইবার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, শুধু এই একটি অ্যাপ নয়, তথ্য সংগ্রহের ফাঁদ পেতে নেট-দুনিয়ায় আরও হাজার হাজার অ্যাপ রয়েছে। না-জেনে সেই অ্যাপের ফাঁদে নিরন্তর পা দিচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।

নির্মল আনন্দের আগে এ বার কি একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন?

প্রশ্নটা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। 
সূত্র  (আনন্দ বাজার পত্রিকা)
hasangblog/talenthouse24

Monday, July 8, 2019

আমার লেখা একটি হিপহপ ।

হাসান ব্লগঃ

আইলো সামনে exam.
মাথা আমার হইলো hang.
সত্যি কইরা কচ্ছি ভাই
বইটা খুইল্লা দেহি নাই
গুষ্টি মারি পরীক্ষার
value নাই এই জীবনটার
কোনদেশেতে করছি বাস
বাইচ্চা থাইকাও মরা লাশ
পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাসঁ
পরা লেখা কইরা বাশঁ
সাবাস অছিলা বাশঁ
দেখি পরীক্ষার আগের রাতে
ছাত্ররা সব ঘুইরা বেরায় প্রশ্ন নিয়া হাতে
পারার লোকে বলেজে পরি আমি কলেজে
পরা লেখার প কথাটা নাই আমার নলেজে
তবু পাইলাম এ প্লাজ
নাই  সরম  নাই  লাজ
পরা  লেখা  করে  যারা  তারা  নাকি  শিক্ষিত ?
গোটা জাতির মানসম্মান তাদের হাতে রক্ষিত
 আজ লুট পাট নষ্টামিতে তারাই বেশি দীক্ষিত
এইতো মোদের পরিচয়
ভূত তারাইবা কিসের দ্বারা
ভূত তো ঐ শরিষায়


hasangblog, talenthouse24


কামরাঙ্গীরচরের গলি বয় রানা।

hasanblog:

গলি বয় রানা: যে গানে পাল্টে গেল কামরাঙ্গীর চরে বেড়ে ওঠা এই শিশুর জীবন

hasanblog







ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে পথ শিশু হিসেবে বেড়ে ওঠা রানার একটি হিপ হপ গান ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা সকলের নজর কাড়ে। পরিচিত হয়ে ওঠে সে 'গলি বয় রানা' নামে।

এই আমি রানা

কামরাঙ্গীর চর পূর্ব রুসুল পুর আট নাম্বার গলি মনের কথা বলি ।

আমি গলির পোলা আমার নাম হইলো রানা

শহরের অলি গলির গল্প আমার জানা

জীবনের কঙ্কালটা কাছ থাইকা দেখি

কিছু কিছু প্রশ্ন আছে মনের মধ্যে রাখি

আমার অনেক ইচ্ছা ছিল ইস্কুলে যামু

তিনবেলা পেট ভইরা ভাত মাছ খামু

আমার লাইগা নতুন একটা কালা পেন্ট কিননা
 
নতুন একটা শাড়ি কিননা মার হাতে দিমু

এখন সেই ইচ্ছা দিছি মনের মধ্যে কবর

পেটে আমার খিদা তাহে তিন বেলা খামু

এক মাস সিহরি খাইয়া রোজা রাহা সোজা

আমি রানা হারা বছর না খাইয়া রোজা 

দেশবাসি হুইনা রাহেন একদিন আমার দিনও আইবো

গলির পোলার কন্ঠে একদিন হারা দেশ কাপবো

বর লোকের পোলা আমায় দেইখা কয়

ছিড়া প্যান পইরা ঘুরি আমি গলি বয় 

আস্তে আস্তে বল করমু পারলে মাইরো ছয়

আমি কামলা খাইটা যামু

তোমরা কইরো জয় 

এই গানে রানা তারা নিজের জীবন সংগ্রাম, স্বপ্ন এবং তার প্রতি সমাজের আচরণের কথা তুলে ধরে।

সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে খ্যাতি পাওয়ার পর বদলে গেছে রানার জীবন-যাপন।

বাসা-বাড়িতে রান্না করা রানার মা সিতারা বেগম কখনো কল্পনা করেননি ছেলেকে পড়াশুনা করাতে পারবেন। এখন তিনিও স্বপ্ন দেখছেন তার ছেলে রানা পড়াশুনা করতে পারবে, বড় হয়ে আর্মিতে যোগ দিবে।

গত কয়েকদিন যাবত স্যোশাল মিডিয়ায় রানা ওরফে রানা মৃধার (৮) হিপহপ টাইপের গানের ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে। তার গানটি শিশু, কিশোর ও বয়স্কদের মনে নাড়া দিয়েছে। যদিও গানটি তাল মেলানো। কিন্তু, গানের প্রতিটি শব্দে তার একরাশ কষ্টের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আর একারণেই রানার হিপহপ গানটি অতিদ্রুত শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কার্টুনে বসে রানা ও আরেকটি শিশু হিপহপ গানটি বেশ আনন্দ নিয়ে গাইছে।

জানা যায়, রানা মৃধা কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুরের ৮ নং গলিতে মায়ের সাথে বসবাস করে। বাবা নেই। বাবার অভাবটা সবসময় রানাকে পীড়া দেয়। অভাবের তাড়নায় রানা শিশু বয়সে জীবিকার তাগিদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ফুল বিক্রি করে। ফুল বিক্রির টাকা মায়ের হাতে তুলে দেয় রানা। জানা যায়, রানার মা বাসাবাড়িতে বুয়া হিসেবে কাজ করেন। রানা ও তার মায়ের উপার্জিত টাকায় তাদের সংসার চলে। অভাবের সংসারের কারণে রানা স্কুলমুখী হতে পারেনি। ছোট্ট রানা হৃদয়ের জমানো কষ্ট থেকে এই হিপহপ গানটি পরিবেশন করে।

আরও জানা যায়, রানার শখ ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু, পড়ালেখা করতে না পারায় তার সেই স্বপ্ন অপূর্ণই হয়ে পড়েছে। তবে, সে হতাশ হয়নি। মনে আশা বেঁধে রেখেছে। রানা মৃধার মা সিতারা বেগম রানার গাওয়া হিপহপ গানটি দেখে অবাক হয়েছেন। তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেননা। তার এতটুকুন ছেলে মোবাইলে গান গায়। অনেকেই রানার গানটি মোবাইলে তার মাকে দেখায়। এতে, রানার মা এখন বেশ খুশি। রানার গানে সমাজের অসঙ্গতি ও তাদের প্রতি চরম অবহেলার কথা প্রকাশ পেয়েছে।

রানার গানটি এমন— আমি গল্লির পোলা, আমার নাম হইলো রানা, অলিগলির গল্প আমার আছে জানা, জীবনের গল্প আস্তে আস্তে দেখি, কিছু কথা মনের মধ্যে রাখি, একমাস সেহরি খেয়ে রোজা রাখা সোজা, আমি রানা সেহরি না খেয়ে সারাবছর রোজা। রানা মৃধার হৃদয়স্পর্শী কথাগুলো নেটিজেনদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। রানা মৃধার গানটি আপলোড করে স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ তাবিব।

সচেতন মহলের মতে, আমাদের সমাজে এরকম হাজারো রানা মৃধা রয়েছে। তারা সমাজের সচ্ছল মানুষের কাছে অবহেলিত। একারণে, অধিকাংশ রানা মৃধাই বিপথগামী হয়ে যায়। তারা হয়ে উঠে একেক সময় একেকজন ভয়ংকর মানুষ। তাদের মতে, রানার মত সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত শিশুদের প্রতি সচ্ছলদের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত। তাহলে, গল্লি বয় রানারাই একসময় বড় গায়ক হবে। সমাজের প্রতি তাদের বিরূপ ধারণা দূর হবে।

সাথেই থাকুন হাসান ব্লগের। 

ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার চালু করল ডার্ক মোড যা আপনার ফোনের চার্জ বাচিয়ে দিবে।



hasanblog:







প্রায় মাস দেড়েক আগে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ম্যাসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের জন্য ডার্ক মোড চালু করে ফেইসবুক।

সেটা পরীক্ষামূলক চালানোর পর সোমবার থেকে বিশ্বব্যাপী সব ব্যবহারকারীর জন্যই উন্মুক্ত হয় ফিচারটি।

অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস দুটি অপারেটিং সিস্টেমেই এটি এখন পাওয়া যাচ্ছে।

এর আগে ফিচারটি চালু করতে হলে ব্যবহারকারীকে একটি চাঁদের ইমোজি পাঠাতে হতো। তারপর সেখান থেকে ডার্ক মোড চালুর অপশন আসলে তা চালু করে দিতে হতো।

এখন ফিচারটি চালু ও নিষ্ক্রিয় রাখতে হলে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। যেটা আগের চেয়ে আরও সহজ বলে জানাচ্ছে ফেইসবুক।

নতুন পদ্ধতিতে ডার্ক মোড চালু করতে হলে ম্যাসেঞ্জারে থাকা প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করতে হবে। এরপর তার নিচেই ডার্ক মোড দেখাবে। সেখান থেকে ফিচারটি সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করে রাখা যাবে।

ফেইসবুকের বহুল প্রতীক্ষিত এই ফিচার গত বছরের অক্টোবরে সামাজিক মাধ্যম জায়ান্টটি ঘোষণা করে তারা চালু করবে। ঘোষণার চার মাস পর কয়েকটি দেশের কয়েকজন ব্যবহারকারী সেটি পেয়েছিলেন। কিন্তু গত মাস থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু ব্যবহারকারী তা পাচ্ছিলেন।

মূলত ব্যাটারি সাশ্রয়ের অন্যতম বড় বাধা স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বা হোয়াইট মোড। এছাড়া, স্ক্রিন কালারও ব্যাটারি খরচ করে বেশি। এই খরচ বাঁচাতে ডার্ক মোড ব্যবহার করা হয়। যা অনেকের খুব পছন্দের ফিচার।

সাথে থাকুন হাসান ব্লগের

আসল কাজের কাজি তিন অ্যাপ। জেনে নিন তিন টি প্রেয়জনীয় অ্যাপ সম্পর্কে যেগুলা আপনার কাজে হেল্প করবে।





প্রতিদিন ব্যস্ত সময়ের ভিড়ে প্রয়োজনীয় কাজটি করতে ভুলে যান অনেকেই।


পরীক্ষা, মিটিং কিংবা ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট জমা দেয়ার মতো বিষয়গুলোতে সময় ও তারিখ ভুলে যাওয়ার ঘটনা হরহামেশায় ঘটে। ফলে পড়তে হয় বিপাকে। এতে বেশি সমস্যায় পড়েন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা।


এমন ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে হাতে থাকা স্মার্টফোনে কিছু কাজের অ‍্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করে নিতে পারেন। সে অ‍্যাপগুলো আপনার কাজের চাপের মধ্যেও সবকিছু মনে করাবে।


টাইম টিউনপ্রতিদিনের কজের রুটিন তৈরির জন্য একটি চমৎকার অ্যাপ্লিকেশন এটি। বিশেষ করে, স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি অ্যাপ্লিকেশন। অ্যাপটি আপনার ঘুম থেকে শুরু করে কাজের সময়, অবসর সময়, ঘুরতে যাওয়ার সময়, আড্ডার সময় সবকিছুরই হিসাব রাখবে। এতে করে আপনি আপনার প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের উপর একটি চমৎকার গ্রাফ পাবেন।


এই ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। ৪.৬ রেটি প্রাপ্ত অ্যাপটি গুগল প্লেস্টোরে প্রায় ১০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।


গুগল ক্যালেন্ডার
এটি গুগলের নিজস্ব ক্যালেন্ডার অ্যাপ। সময়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত অ্যাপটির আপডেট করা হয়। স্মরণীয় মুহূর্তগুলো এখানে সংরক্ষণ রাখতে পারেন, যা আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে জমা থাকবে।


তবে অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ব্যবহার হয় বিভিন্ন মাসে কাজের তালিকা তৈরি করার জন্য। এখানে রয়েছে নোটিফিকেশন সিস্টেম। ধরুন আগামী মাসের ১৫ তারিখ আপনার কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে এবং আপনি চাচ্ছেন ১০ তারিখে যেন আপনাকে কাজের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে এক্ষেত্রে গুগল ক্যালেন্ডার আপনার জন্য একটি প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন হতে পারে। বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডিফল্ট হিসেবে অ্যাপটি ইন্সটল থাকে।


যদি না থাকে তাহলে এই ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন। আইওএস ব্যবহারকারীরা এই ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।


এভার নোট

নোট নেয়ার জন্য বহুল ব্যবহৃত অ্যাপের নাম ‘এভার নোট’। অনেকগুলো চমৎকার ফিচার রয়েছে এতে। উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলো হলো, বিভিন্ন নোটের ধরন, নোটবুক সাপোর্ট, সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্য, সহযোগিতামূলক বৈশিষ্ট্য, নোট ভাগাভাগি এবং ক্রস প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট ফিচার।


এই নোটটি আপনি মোবাইল ও পিসি উভয়ের জন্যই ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইলে লেখা কোনো নোট পিসিতে পেয়ে যাবেন। আবার পিসিতে লেখা নোটগুলোও আপনি মোবাইলে পেয়ে যাবেন। এভাবে আপনি বাসায় বসে মোবাইলে কিছু নোট করলেন সেটা অফিসের পিসিতে পেয়ে যাচ্ছেন। একজন ইউজারের কাছে কোনো নোট শেয়ার করতে চাইলে শেয়ার অপশনে গিয়ে তার ইউজার নেমটি লিখে দিলেই হবে।


এখান থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। এটি গুগল প্লেস্টোর থেকে প্রায় ১০ কোটির বেশি ডাউনলোড হয়েছে।

সাথে থাকুন হাসান ব্লগের

যে ৩ অ্যাপে কাটবে ফোনের আসক্তি






ফোনে থাকা অ্যাপ সময় খেয়ে ফেলছে কম বেশি সবারই। আবার অন্য একটি অ্যাপ তা বাঁচিয়েও দিতে পারে।

পড়াশুনা কিংবা অফিসে কাজের ফাঁকে স্মার্টফোনটি হাতে নিলেন। তারপর কতটা সময় কিভাবে কেটে গেল টেরই পেলেন না।

ফোনে থাকা আকষর্ণীয় বিভিন্ন অ্যাপে ডুবে থাকার কারণেই এমনটি হয়। এতে পড়া বা কাজের বেশ ক্ষতি হয়।

এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন অ্যাপের মাধ্যমে। আপনার আসক্তি কমাতে নামিয়ে নিতে পারেন পছন্দের অ্যাপ। এমন বেশ কয়েকটি অ্যাপের মধ্যে আজ থাকছে দু’টির কথা।

আসক্তির লেভেল জানাবে ইউর আওয়ার
অনেকেরই ধারণ স্মার্টফোন ছাড়া একদিনও থাকা সম্ভব নয়। আপনার আসক্তির লেভেল কম না বেশি, তা জানতে ফোনে ইন্সটল করে নিতে পারেন ‘ইউর আওয়ার’ অ্যাপটি।

অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ফোন ব্যবহারের ধরণ অনুযায়ী বলে দেবে আসক্তির লেভেল সম্পর্কে। তারপর আসক্তি কাটিয়ে উঠতেও সহায়তা করবে এটি।

ব্যবহারকারীরা এটির মাধ্যমে প্রতিদিন কতটুকু সময় ফোনে কাটাবেন সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে আসক্তি কমাতে পারবেন।

অ্যাপটির সাহায্যে কত সময় ফোনের স্ক্রিন অন ছিল, কোন সময় কোন অ্যাপ ব্যবহার করেছেন ইত্যাদি তথ্য টাইমলাইন আকারে পাওয়া যাবে।

৪.৫ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি ১০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এ ঠিকানা থেকে ৯.০ মেগাবাইটের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।

অ্যাপব্লকার
এ অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো অ্যাপ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্লক করা যাবে। তাই চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপগুলো ব্লক করে রাখতে পারবেন কাজের সময়।

যে কোনো অ্যাপ্লিকেশনের নোটিফিকেশন আলাদাভাবে বন্ধ করে রাখা যাবে। পরে আনব্লক করলে নোটিফিকেশনগুলো দেখে নেওয়া যাবে।

এতে রয়েছে পাসওয়ার্ড দেয়ার সুবিধা। ফলে অন্য কেউ চাইলে সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে না।

প্রতিদিন টাইম লিমিট করে দিতে পারেন।

৪.২ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি পাঁচ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এ ঠিকানা থেকে ৫.৭ মেগাবাইটের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।

স্টে ফোকাস
ধরুণ, আপনি ফোন হাতে নিয়ে একটু পরপরই ফেইসবুকে ঢু মারেন। প্রতিদিন ৩০-৪০ বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপটি চালু করেন। এ আসক্তি কমাতে সহায়তা করতে পারবে অ্যাপটি।

এটির মাধ্যমে প্রতিদিন কতবার ফেইসবুক অ্যাপ চালু করেন বা কত সময় চালাচ্ছেন এমন হিসাব জানতে পারবেন। তা থেকে কতটা সময় নষ্ট হচ্ছে তা জেনে নিতে পারবেন।

এটির মাধ্যমে আপনি ফোনে থাকা কোন অ্যাপ কতবার চালু করবেন তা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। পরে অ্যাপটি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে আপনি সীমার চেয়ে বেশি কতবার অ্যাপটি ব্যবহার করতে চাইছেন।

এ অ্যাপে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন।

এ ছাড়া এটিতে কুইক অ্যাপ ব্লকসহ বিভিন্ন ফিচার পাওয়া যাবে।

৪.৫ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি পাঁচ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এ ঠিকানা থেকে ৪.৬ মেগাবাইটের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।

সাথে থাকুন হাসান ব্লগের

ছবি ও ভিডিওর সৌন্দর্য বাড়াবে যে অ্যাপ।





ছবি তোলার সময়ই ফিল্টার থেকে ছবিটি কেমন হবে তা দেখে নেওয়ার সুযোগ আছে। তাহলে পরে আর ছবি এডিটিংয়ে সময় দিতে হবে না।

কেননা স্মার্টফোন দিয়ে ছবি তোলার পর সেটিকে আরও সুন্দর করতে অনেকেই ফিল্টার ব্যবহার করেন। এরপর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন।

তোলার সময়ই ছবি ফিল্টার করার তেমনি একটি অ্যাপ হলো রেটরিকা (retrica)।

অ্যাপটির সাহায্যে ছবি তোলার সময়ই বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার দিয়ে দেখে নেওয়া যাবে ছবিটি বা ভিডিওটি কেমন হবে।

এক নজরে অ্যাপটির ফিচারগুলো

অ্যাপটিতে দারুণ ক্যামেরা ফিল্টার রয়েছে। ক্লিক করার সময়ই দেখে নেওয়া যাবে ছবি বা ভিডিওটি কেমন দেখাবে। ১০০টির বেশি ফিল্টার মিলবে অ্যাপটিতে।

ছবিতে কালার পপের প্রয়োজন হলে তা অ্যাপটির সাহায্য করে নেওয়া যাবে। পছন্দমত রঙের ফিল্টার দেওয়া যাবে ছবিতে।

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিআইএফ ভিডিও বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এটির মাধ্যমে জিআইএফ ভিডিও তৈরি করা সম্ভব।

অনেকগুলো ছবি একত্রে যুক্ত করে কোলাজ ছবি সহজেই তৈরি করা যাবে এটির মাধ্যমে।

ছবিকে মজাদার করতে অনেক ফান স্টিকার, ডুডল রয়েছে এতে। যেগুলো ব্যবহার করে সেলফিকে আরও আকষর্ণীয় করা যাবে।

অ্যাপটির মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও সম্পাদান করার পর চাইলে তা সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা যাবে।

অ্যাপটিতে একটি কমিনিউটি অপশন রয়েছে। চাইলে আপনার ছবিটি অ্যাপে আপলোড করতে পারেন। অন্য কোন বন্ধুকে ফলোও করতে পারবেন।

এ ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। ৪.৩ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি এক কোটির বেশি ডাউনলোড হয়েছে গুগল প্লে থেকে।

সাথে থাকুন হাসান ব্লগের

এবার সনি আনছে ফোল্ডেবল ফোন!



 মোবাইল প্রথম ফোল্ডেবল স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে। তাদের ফ্লেক্সপাই ফোনটি আনার পরেই স্যামসাং, হুয়াওয়ে তাদের ফোল্ডেবল বাজারে ছাড়ার কথা জানায়।

ফোল্ডেবল ফোন নিয়ে যদিও সবার আগে থেকে কাজ শুরু করেছিল দক্ষিণ কোরিয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। কিন্তু তার আগেই রয়োল কর্পোরেশন তাদের ফ্লেক্সপাই বাজারে ছাড়ে।

এবার জাপানের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সনি ফোল্ডেবল ফোন আনছে বলে খবর বেরিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি ফোল্ডেবল এবং একই সঙ্গে রোল করা যায় এমন ফোন তৈরি করছে।

টুইটারে ম্যাক্স জে স্যামসাং নিউজ নামের এক আইডি থেকে পোস্টে করা এক ছবিতে বলছে, স্যামসাংয়ের ফোল্ডেবল এবং মেট এক্স এর মতো সনিও একটি ফোন আনছে।



ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তার একটি প্রোটোটাইপ তৈরিও করেছে। সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে এলজির ডিসপ্লে এবং তাতে দেওয়া হয়েছে ১০ এক্স জুম ক্যামেরা।

ফোনটিতে থাকতে পারে ৩২২০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি। যার সাইজ হবে স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট।

ফোনটিতে থাকতে পারে স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ প্রসেসর এবং কোয়ালকোমের এক্স৫০ মডেম। একই সঙ্গে সেটি ফাইভজি সাপোর্ট করবে বলেও বলা হয়েছে।

এটি দেখতে অনেকটাই গ্যালাক্সি ফোল্ডের মতো হবে বলেও জানা যাচ্ছে।

গিজমো চায়না অবলম্বনে ইএইচ/ জুলাই ০৮/ ২০১৯/ ২০২০

সাথে থাকুন হাসান ব্লগের

বাংলাদেশের ব্লগগুলির এখনও অনেক কিছুই দেয়ার বাকি : ব্লগার হাসান মাহবুব



বাংলাদেশের ইন্টারনেট ইতিহাসে ব্লগের যে ভূমিকা, সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে বিস্তর গবেষণা হতে পারে। পুরোনো ব্লগগুলির বেশিরভাগই হারিয়ে গেছে, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে কিছু ব্লগ এখনও টিকে আছে এবং বেশ ভালোভাবে আছে। শুধু তাই না, কিছুদিন আগে সামহয়্যার ইন ব্লগের অ্যাপও বের হয়েছে। ইস্টিশন, চতুর্মাত্রিক, আমরা বন্ধু এই ব্লগগুলি হয়তো খুব জমজমাট অবস্থায় নেই, কিন্তু এখনও এখানে লেখা দিচ্ছেন ব্লগাররা। পরিমিত মিথস্ক্রিয়ায় স্পন্দিত হচ্ছে অন্তর্জালের হৃদয়।


কথা হচ্ছে, সোশাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন অ্যাপসের এই আগ্রাসানের যুগে কিছু মানুষ কেন এখনও ব্লগে আসছেন? শুধু যে আসছেন তাই না, খেটেখুটে লেখা তৈরি করছেন, যা সমৃদ্ধ করছে আমাদের জ্ঞানভাণ্ডারকে। কেন আসছেন? তার আগে এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে, অনেকেই চলে গেছেন কেন?

চলে যাবার পেছনে কারণ খুব সহজ। ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়া। এই বিশাল কোম্পানিগুলি প্রাযুক্তিক সুবিধায় এতটাই আয়েশ দিয়েছে মানুষকে, যা তাদের অলস করে তুলেছে। ফেসবুক কি আসলে লেখালেখির জন্যে তৈরি হয়েছিলো? না। ফেসবুকে মূলত মানুষ টুকরো কথা শেয়ার করবে, ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করবে বন্ধুদের সঙ্গে- এটাই ছিলো মূল উদ্দেশ্য। এখনও তাই আছে। তবে কোন এক বিচিত্র কারণে বাংলাদেশে ফেসবুকটাকে লেখালেখির জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন অনেকে।

আমি এটাকে সাধুবাদ জানাই, কিন্তু এই প্রশ্নও করি, ফেসবুকে আপনার লেখা কি যথাযথভাবে মূল্যায়ন হচ্ছে? একটি ছয়শ শব্দের লেখায় আধা মিনিটের মধ্যে লাইক পেয়ে কি আপনি তৃপ্ত? যদি তাই হয়, খুব ভালো। চালিয়ে যান।

কিন্তু কিছু মানুষ অনুধাবন করতে পেরেছেন, ফেসবুকের সীমাবদ্ধ মাধ্যমটি লেখালেখির জন্যে খুব উপযুক্ত না। আর এজন্যে তারা ব্লগ ছাড়তে পারছেন না, অথবা ছাড়লেও ফিরে আসছেন।

আমি নিজে দশ বছর ধরে ব্লগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। আমাকে কিছুদিন পরই পুরোনো ব্লগারদের কাছে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, 'ভাই, ব্লগে ফিরতে চাই, পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি, কী করবো?'

একটা ব্লগে আপনি ইচ্ছেমত হাইপারলিংক যুক্ত করতে পারবেন, ইউটিউবের ভিডিও এমবেড করতে পারবেন, লেখা ইচ্ছেমত বোল্ড বা ইটালিক করতে পারবেন, কোট দিতে পারবেন, যার কোনটিই ফেসবুকে নেই।

হ্যাঁ, ফেসবুক নোট নামে একটি সুবিধা আছে, যেখানে এই কাজগুলি করা যায়, কিন্তু নোট লিখলে আবার সবাইকে ট্যাগ না দিলে পড়বে না। তাই কার্যকর জিনিস হওয়া সত্ত্বেও ফেসবুক নোটের ব্যবহার নেই তেমন একটা।

একটা ব্যাপার বেশ মজার। বাংলাদেশে যে ধারার ব্লগিংয়ের কথা বলা হচ্ছে, সেটা হলো কমিউনিটি ব্লগিং। পুরো পৃথিবীতে এটা বেশ অভিনব একটি ধারণা। ব্লগ বলতে মূলতঃ বিভিন্ন কোম্পানির নিজস্ব ব্লগ অথবা ওয়ার্ডস্পট বা ব্লগস্পটে খোলা ব্যক্তিগত ব্লগ বোঝানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশের কমিউনিটি ব্লগগুলিতে নিবন্ধন করে যে কেউ একটি নিজস্ব ঠিকানা পেতে পারেন, লিখতে পারেন, অন্যের লেখায় কমেন্ট করতে পারেন, এটা সত্যিই এক অসাধারণ ব্যাপার।

কোম্পানি ব্লগ অথবা পার্সোনাল ব্লগে এই মিথস্ক্রিয়া কোনভাবেই সম্ভব না। আপনি আপনার ব্যক্তিগত ব্লগে খুব চমৎকার একটি লেখা লিখলেন, সেটা হয়তো বা গুগলের সার্চ রেজাল্টে এক নাম্বারে থাকবে, সেটা থেকে হয়তো আপনি উপার্জন করবেন, কিন্তু আপনার লেখায় মন্তব্য করার মানুষ কই? সেটা আপনি বাংলাদেশের কমিউনিটি ব্লগেই পাবেন কেবল। আর এই কমিউনিটির শক্তি থেকেই গত এক যুগে খুব চমৎকার কিছু কাজ হয়েছে।

দশ বছর আগে ভাস্কর্য ভাঙার বিরুদ্ধে যেমন আন্দোলন জোরদার হয়েছিলো ব্লগ থেকে, এই কিছুদিন আগে ভিকারুন্নেসার ছাত্রীর আত্মহননের প্রসঙ্গেও ব্লগ ছিলো সরগরম। সেখানে আমার লেখা একটি পোস্টকে স্টিকি করা হয়েছিলো, যাতে মোট মন্তব্য পড়েছিলো ১৬২ টি! তাও আবার 'সহমত ভাই' জাতীয় মন্তব্য না। দীর্ঘ এবং সুচিন্তিত মন্তব্য।

১৯ ডিসেম্বরে দশম ব্লগ দিবসের প্রারম্ভে আমি তাই আশাবাদী, বাংলা ব্লগের আরো অনেক কিছু দেওয়ার বাকি এবং ব্লগাররা দিয়ে যাবেন আমাদের।

ব্লগ দিবস উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ব্লগাররা নানারকম আয়োজনের কথা ভাবছেন, একত্রিত হচ্ছেন সেই দশ বছর আগের মতো! ছোট হয়ে আসা পৃথিবীর ছোট ছোট ডিভাইসের অর্গল ভেঙে এই যে একসঙ্গে হওয়ার ইচ্ছে, এর মধ্যে ব্লগারদের প্রাণের প্রবাহমনতার চিহ্ন পাওয়া যায়।

মাঝখানে কিছু অনাকাঙ্খিত কারণে, কিছু অস্থিরতায় স্থবির ছিলো ব্লগ দিবসের কার্যক্রম। কিন্তু ব্লগাররা মিথস্ক্রিয়ার অসাধারণ সংস্কৃতি শুধু ব্লগেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছেন না। ১৯শে ডিসেম্বর বাংলা ব্লগ দিবসে ব্লগারদের মিলনমেলায় হয়তো বা উদ্বোধন হবে নতুন চিন্তার, নতুন উদ্দীপনার!

ইত্তেফাক/নূহু

সাথে থাকুন হাসান ব্লগের

আমি মোটিভেশন সমর্থন করি এবং সবসময়ই করবো।



আজ মোটিভেশন নিয়ে লেখবো


* যখন মনে হয় যে, এতো বড় হয়ে গিয়েছি কিন্তু কিছুই করতে পারিনি তখনই KFC এর প্রতিষ্ঠাতার গল্প শুনে নিজেকে রিফ্রেশ করি। তখন মনে হয় যে, নাহ জীবন আরো অনেক বাকি আছে।


জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিজে মুক্তিযোদ্বায় অংশগ্রহন না করেও তার রচিত কবিতা দিয়ে দেশের লক্ষ মুক্তিযোদ্বাদের অনুপ্রেরনা দিয়েছিলো। এটাকেই মোটিভেশন বলে।


বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের যে ভাষনে সমগ্র জাতি যুদ্বে ঝাপিয়ে পড়েছিলো, সেটাকেই মোটিভেশন বলে।


আমেরিকার নাগরিক অধিকারকর্মী মার্টিন লুথার কিং “I have a dream” ভাষন দিয়ে 250,000 সমর্থককে উজ্জীবিত করেছিলেন যা পরবতীতে সফল আন্দোলনে রুপ নেয়। এটাকে মোটিভেশন বলে।


অনেকদিন আগে একটি ভিডিও দেখেছিলাম যেখানে একটি খেলা শুরু হওয়ার আগে একজন মোটিভেশনাল কোচ তাদেরকে জোরে জোরে চিত্‌কার করে বলাচ্ছে “Who Am I? I Am a Champion, Who am I? I Am a Champion”. এটা খেলোয়ারদের পুরু সময়টা জুরে মোটিভেডেট রাখবে।


বাংলাদেশে বনাম ইংল্যান্ডের একটা ম্যাচের কথা মনে আছে? যেখানে রুবেলের লাষ্ট ওভারে বাংলাদেশের জয় হয়েছিলো? সেদিন রুবেল বল করার আগে ক্যাপ্টেন মাশরাফি পিঠ চাপরে বলেছিলো, “নিজের সেরাটা দিবি, এই ছয়টি বল তোর ক্যারিয়ারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন”। রুবেল সে কথায় তার সেরাটা দেওয়ার জন্য আরো বেশি চেষ্ঠা করেছিলো। এটাই মোটিভেশন।


ছোট বাচ্চারা হাটতে গিয়ে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেলে মা বলে “এই বাবু, এইটা কোন ব্যাপার না। তুমি তো লাফ দিয়েছো। আবার চেষ্ঠা করো। ওঠো ওঠো”। এটাই মোটিভেশন।


মোটিভেশন হচ্ছে এমন একটি জিনিস যা শত হতাশাগ্রস্থ সময়ে একটু আশার আলো দেয়। একজন ব্যক্তির শতকোটি টাকার সম্পত্তি আগুনে পুরে গেলে তাকে যদি আপনি বলেন, “ভাই, হাল ছাড়বেন না। আবার নতুন করে শুরু করুন” এই কথাটা তাকে মোটিভেটেড রাখবে।


ইংরেজী শব্দ “Motivation” এর বাংলা শব্দ হচ্ছে প্রেরনা বা প্রানোদনা। যে প্রান দুঃখ, কষ্টে অতিষ্ট হয়ে আশাহীন হয়ে গেছে তাকে যদি দুয়েক বাক্য শুনিয়ে সে প্রানে আশার সঞ্চার করা যায় তাহলে দোষের কি আছে? বরং তা বাধ্যতামূলক।


যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মোটিভেশনকে ধুয়ে দিচ্ছেন তারা না বুঝে হুযুকে গা ভাসাচ্ছেন। এই ব্লগটি পড়ার পড় যদি আপনার মনে হয় যে আপনার মোটিভেশন দরকার নেই তাহলে আপনার মন খারাপের সময় কারো কাছে থেকে কোনদিন ভালো কোন বাক্য আশা করবেন না। কারন আপনার কোন মন খারাপের সময় যদি আপনার কোন বন্ধু বলে “আরেহ, মন খারাপ করিস না। সব ঠিক হয়ে যাবে”। এইটা মোটিভেশন।


হাত পা বিহীন মানব Nick Vujicic এর একটা স্পিচ এর মূল্য কত জানেন?












মিনিমাম ৪০,০০০ ডলার। যা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। তিনি অন্য কোন কাজই করতে পারেন না কিন্তু অন্য লক্ষ লক্ষ মানুষদের আশা দিতে পারে। এটাই তার গুন। এর সেজন্যই তাকে এতো টাকা দিতে হয়। আর কিছু নিশ্চই বলতে হবে না।


আর সোলায়মান সুখন অন্য কোন সেলিব্রেটিদের মতো লেম এটেনশন সিকার নয়। তিনি ফলো করার মতো একজন ব্যক্তিত্ব। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, ক্যারিয়ারের উথান পতন থেকে যে কেউ শিক্ষা নিতে পারবে। তার সবচেয়ে ভালো লাগার পার্ট হচ্ছে, তিনি শুধু নিজের স্বাধীনভাবে জীবন পরিচালনার জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার ছেড়ে দিয়ে নতুন করে আবার জীবন চলতে শুরু করেছেন। তার সে গল্প আমাকে অনুপ্রানিত করে।


*** ভালো লাগলে লেখাটি শেয়ার করতে পারেন।

সাথে থাকুন হাসান ব্লগের

কিভাবে পিসির ফোল্ডার হাইড ও আনহাইড করবো? কোন সফটওয়ার ছাড়া খুব সহজে।

talenthouse24.com / হাসান ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
 আজ আমি আপনাদের জানাব কি ভাবে কোন সফটওয়ার ছাড়া আপনার কম্পিউটারে ফোল্ডার হাইড ও আনহাইড করবেন। যারা ফাইল ও ফোল্ডার হাইড ও আনহাইড করতে পারেননা তারা উপকৃত হবেন। আসলে এটি সকটি প্রেয়জনীয় বিষয় । কারন পিসিতে এমন কতগুলা গুরুত্বপূর্ন ও ব্যাক্তি গত ডুকুমেন্ট থাকে যা হাইড করে রাখার প্রেয়জন পড়ে।  ইন্টারনেটে হয়তোবা আপনি অনেক ফ্রি সফটওয়ার পাবেন  কিন্তু সফটওয়ার ছাড়াই যে কাজ খুব সহজে করা যায় তাহলে অযথা সফটওয়ার ইনস্টল করে কম্পিউটারের রম নষ্ট করবেরন কেন?

তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক। কিভাবে কম্পউটার থেকে ফোল্ডার হাইড ও আনহাইড করবো।
নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন।


hasanblog


যে ফোল্ডার টি করতে চান হাইড তার উপর ক্লিক করুন রাইট। তার পর আসবে অনেক অপশন সেখানথেকে propertice করুন নির্বাচন। তারপর বক্স হবে ওপেন।নিচের ছবির মত। 


hasanblog
Add caption


এবার হিডেনে টিক দিয়ে এপ্লাইতে ক্লিক করুন।  এরপর নিচের মত একটা ডায়ালগ বক্স আসবে।


hasanblog


ok ক্লিক করুন। ok ক্লিক করার পর উপরে বক্স টি চলে রবে শুধু নিচের বক্সটি।

hasanblog
Add caption


এখানে ok ক্লিক করুন । এরপর আপনার ফোল্ডারের দিকে তাকান দেখলেন আপনার চোখের সামনে কেমুন করে ফোল্ডারটি গায়েব হয়ে গেল।



এখন আসেন আনহাইড করার পালাঃ এবারে আপনার কন্টোল প্যানেলে প্রোবেশ করুন।উইন্ডোস ৭,৮ হলে এরকম।

hasanblog


আর ১০ হলে এরকম।

hasanblog



সেখানে নিচের চিত্রের মত ফোল্ডার অপশন খুজে বাইর করে ক্লিক করুন।

hasanblog


 অথবা  কন্টোল প্যানেল খুজে না পেলে উইন্ডোস সার্চ বক্সে লিখুন folder option. তাহলে ফোল্ডার অপশন আপনার কাছে হাজির হবে এবং সেখানে ক্লিক করুন।
তারপর নিচের মত একটা ডায়ালগ বক্স আসবে।

hasnablog


সেখান থেকে ভিউ এ ক্লিক করে চিত্রের মত করে অপশন টি সিলেক্ট করুন এবং ok  ক্লিক করুন ।
কি ভাবসেন আপনার কাজ শেষ। আরে বস দাড়ান এত ব্যাস্ত হলে কি চলবে ? 

এবার আপনার ফোল্ডারটির দিকে একবার তাকান কি সে এসেও আসলো না ।
চিন্তার কোন কারন নেই আমি আছি না? 

আবার ঐ ফোল্ডারের ওপর রাইট  ক্লিক করুন এরপর প্রোপার্টিস থেকে নিচের মত করে টিক তুলে দিন।

hasanblog
 ok ক্লিক করুন নিচের মত আরএকটি বক্স আসবে ok  ক্লিক করুন।
ব্যাস কেল্লাফতে।
hasanblog 
  
ধন্যবাদ  পুরো সময় সাথে থাকার  জন্য।


আরও নিত্য নতুন টিপস পেতে সাথে  থাকুন হাসান ব্লগের  : hasanblog





প্রোগ্রামিং কি? খায়? পিন্দে না মাথায় দেয়?




হাসান ব্লগঃ


লিটন ভাইয়ের টঙ্গের দোকানে গিয়ে যদি আপনি এক কাপ চা চান। লিটন ভাই চায়ের কাপের মধ্যে চা-পাতা, চিনি আর দুধ দিয়ে আপনাকে এক কাপ চা বানিয়ে দিবে।


image


এই চা বানানোর জন্য ওনাকে ছোটো-খাটো অনেক গুলো খুচরা-খাচরা কাজ করা লাগছে, যেটা আপনাকে বলে দেয়া লাগে নাই। অর্থাৎ উনি চায়ের কাপ নিছেন, তারপরে ছাকনির মধ্যে কিছু চা পাতা রেখে তার উপ্রে গরম পানি ঢেলে দিছেন।


শেষে চিনি এবং দুধ দিয়ে ভালো করে নেড়ে চা টা তৈরী করে দিছেন। এই খুচরা–খাচরা কাজগুলো মান্ধাত্তার আমলে কেউ একজন লিটন ভাইরে শিখায়ে দিছে। এখন অলিল, খলিল, জলিল যে কেউ গিয়ে চা চাইলেই, লিটন ভাই ধাপে ধাপে ওই ছোট খাটো কাজগুলো করে চা তৈরী করে দিবে
রাতে কি খামু


চা খাইতে খাইতে খাইতে আপনার মনে হইলো রাত্রে তো খাবারের কিছু নাই। টেনশন নেবার কোনো কারণ নাই। প্লেইন রাইস ইন প্লেট এন্ড এগ ফ্রাই অন সাইড, হচ্ছে গরিবের ফাইভ স্টার মেনু। যাকে সোজা বাংলায় বলে, ডিমভাজি দিয়া ভাত। সেই বন্দোবস্ত করতেই গেলেন, পাশের দোকানে। আধা কেজি চাল আর একহালি ডিম কিনতে। দোকানদার বললো, আধা কেজি চালের দাম ২৮ টাকা আর এক হালি ডিমের দাম ৪১ টাকা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আপনাকে মোট কতো টাকা দিতে হবে?সেটা আপনি যদি চাল্লু হন তাইলে আঙ্গুলের দাগ গুনে গুনে বা কাগজে লিখে যোগ করতে পারেন।


কারণ আপনার মাথার মধ্যে কিছু ঘিলু আছে। সেই ঘিলুতে যোগ করার পদ্ধতি ঢুকায় দেয়া আছে। ক্লাস টু তে পড়ার সময় আপনাকে শিখায় দেয়া হইছে। আর আপনি যদি হাবলু হন তাইলে, আপনি একটা ক্যালকুলেটর বের করে সেখানে ২৮ যোগ ৪১ লিখে, মোট কতো টাকা দিতে হবে সেটা আপনি বলতে পারবেন। আপনার মাথার মধ্যে যেমন ঘিলু আছে। ক্যালকুলেটরের মাথার মধ্যেও ঘিলু আছে। সেই জন্য, আপনি যেমন যোগ করতে পারেন।


ক্যালকুলেটরও যোগ করতে পারে। আপনারে, ক্লাস টু তে পড়ার সময় যোগ কিভাবে করতে হয় শিখায় দিছে। তেমনি, ক্যালকুলেটর তৈরী করার সময়ও তাকে শিখায় দেয়া হইছে যোগ কিভাবে করতে হয়। আপনি যে ধাপে ধাপে, আঙ্গুলের দাগ গুনে গুনে যোগ করতে পারেন। আপনার এই জানাটাকে বলে জ্ঞান বা নলেজ আছে। আর ক্যালকুলেটরও একই কাজ জানে। সেটাকে বলে ক্যালকুলেটরের জ্ঞান বা প্রোগ্রাম। অর্থাৎ ক্যালকুলেটর দুইটা সংখ্যাকে ধাপে ধাপে যোগ করার জ্ঞানটাই হচ্ছে একটা প্রোগ্রাম।
প্রোগ্রাম কি জিনিস?


তারমানে, কোন একটা প্রোগ্রাম বলতে আমারা বুঝি, অনেকগুলা ছোট ছোট খুচরা কাজের সমষ্টি যেটা কেউ একজন একবার শিখায় দেয়। পরবর্তীতে, ঐ কাজ করতে বললে, সে একই পদ্ধতিতে সেই কাজ বার বার করতে থাকে। যেমন, লিটন ভাইকে চা বানানোর পদ্ধতি কেউ একজন একবার শিখাই দিছে। এরপর থেকে আজীবন লিটন।





image


ভাই একই পদ্ধতিতে চোখ বন্ধ্ করে চা বানাই দিতে পারে। তেমনি ক্যালকুলেটরকে কেউ একজন যোগ করার ধাপ বা পদ্ধতি শিখায় দিছে। অর্থাৎ কেউ একজন ক্যালকুলেটরের মধ্যে যোগ করার একটা প্রোগ্রাম লিখে দিছে। এখন যতবারই যোগ করতে বলা হোক না কেন, সে একই পদ্ধতিতে বা প্রোগ্রাম ব্যবহার করে, যোগ করে ফেলবে।


তবে প্রোগ্রাম হইতে হইলেই যে অনেকগুলা খুচরা খাচরা কাজের সমষ্টিই হইতে হবে এমন কোন কথা নাই। সিম্পল খুচরা একটা কাজ দিয়েও কিন্তু একটা প্রোগ্রাম হইতে পারে, যেমন আপনি যদি কাউরে বলেন এই দিকে আয় তাইলে সে যেখানেই থাউক না কেন সে আপনার দিকে আসা শুরু করবে। এই সিম্পল খুচরা কাজটাও কিন্তু একটা প্রোগ্রাম। তারমানে কোন সিম্পল একটা কাজ বা অনেকগুলা কাজের সমষ্টিই হচ্ছে একটা প্রোগ্রাম।


তো, আপনাকে যদি আজকে থেকে কেউ জিজ্ঞেস করে “প্রোগ্রাম কি জিনিস? এইটা খায়, পিন্দে, না মাথায় দেয়?” আপনি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবেন। একটা প্রোগ্রাম হচ্ছে অনেকগুল খুচরা খাচরা কাজের সমষ্টি। সেইটাও যদি আপনার মাথায় না আসে বলে দিবেন লিটন ভাইয়ের চা বানানোই হচ্ছে একটা প্রোগ্রাম। সে যদি বলে একটা বড়-সড় প্রোগ্রামের নাম বল? তাইলে আপনি বলে দিতে পারবেন যে, কালচারাল প্রোগ্রাম, জন্মদিনের প্রোগ্রাম, বা বিয়ের প্রোগ্রাম ইত্যাদি ইত্যাদি।


image
আধা কেজি চালের দাম




আমরা আবার দোকানে ফেরত যাই। এই যে, আজকে আপনি আধাকেজি চাল ২৮ টাকা দিয়ে কিনছেন। কালকে কিন্তু এই আধা কেজি চালের দাম আর ২৮ টাকা থাকবেনা। সেটা হয়ে যাবে ২৯ টাকা ৬ মাস পরে হয়ে যাবে ৩৬ টাকা। আর ১ বছর পরে আল্লাহ্‌ই মালুম যে কতো হয়। হয়তো ৪১ নয় ৪৭ টাকা হবে। তারমানে আধা কেজি চালের দাম কিন্তু টাকার অঙ্কে নির্দিষ্ট থাকতেছে না। এইটা পরিবর্তন বা চেইঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। তারমানে হচ্ছে এইটা vary করতেছে। কিন্তু যখনই যেই দাম হোকনা কেন, আপনি যদি দোকান্দারকে জিজ্ঞেস করেন, “ভাই আধা কেজি চালের দাম কতো?” সে কিন্তু তখনকার দামটা আপনাকে বলবে।

আপনার বয়স কত?


image


কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে আপনার বয়স কতো? আপনি হয়তো এখন বলবেন ৬৯, পরের বছর বলবেন ৭০, তারপরের বছর জিজ্ঞেস করলে বলবেন ৭১। এই যে আপনার বয়সটা এইটা কিন্তু পরিবর্তিত বা চেইঞ্জ হচ্ছে। তারমানে এটা বছর বছর ভেরি করতেছে। এই যে বয়সের মান বা value পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে বা ভেরি করতেছে, তাকে প্রোগ্রামিং এর ভাষায় variable বলে।
ভেরিয়েবল কি জিনিস


সব ভেরিএবলের কিন্তু একটা নাম থাকে। যেটা ধরে আপনি ডাক দিবেন। এই যেমন, “আধা কেজি চলরে দাম” বা “বয়স” এবং আপনি এই নাম ধরে কাউরে জিগ্যেস


image





করবেন। তো, এখন আমরা যদি উল্টা দিক থেকে দেখি, তাইলে ভেরিএবল কি জিনিস? ভেরিএবল হচ্ছে কোন একটা জিনিস যার ভেলু বা মান পরিবর্তিত হয়। কিন্তু নাম ধরে জিগ্যেস করলে, আপনি যখন জিজ্ঞেস করলেন তখনকার যে দামটা (ভ্যালু) আছে, সেটা আপনাকে বলে দিবে। সেটাও যদি আপনার মনে না থাকে, তাইলে আপনি বলবেন যে, “ভেরিএবল মানে হচ্ছে আধা কেজি চালের দাম”


এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা দুইটা ভেরিএবল এর কথা বলেছি। একটা ছিল হচ্ছে আধা কেজি চালের দাম আর একটা হচ্ছে বয়স। এই দুইটাকেই কোন না কোন সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যায়। যেমন আধা কেজি চালের দাম হচ্ছে ২৮ আর আপনার বয়স হচ্ছে ৭১ কিন্তু দুনিয়ার সব ভেরিএবলকেই যে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে তা কিন্তু ঠিক না। সেটা আমরা একটু পরেই দেখবো।
তোর নাম কি?


কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে, এই তোর নাম কি? আমি উত্তর দেই, “মোহাম্মাদ গরীবুল্লাহ”। আর আপনাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, এই তোর নাম কি? আপনি


image


বলেন, “মোহাম্মাদ ধনীর পোলা”। তারমানে এই যে, নাম জিনিসটা সেটা কিন্তু সংখ্যা দিয়ে বলা যাচ্ছেনা। সেটাকে অনেকগুলা বর্ন বা বর্নের সমষ্টি দিয়ে বলতে হচ্ছে। এই বর্নের সমষ্টিকে প্রোগ্রামিং এর ভাষায় বলে হচ্ছে স্ট্রিং। এখন এই যে স্ট্রিং জিনিসটা যে অনেকগুলা বর্নের সমষ্টি সেইডা কিন্তু মনে রাখাডা সহজ না। এই জন্য আমি চোখ বন্ধ করে একুশে ফেব্রুয়ারীর কথা চিন্তা করি। যখন দড়ির মধ্যে অনেকগুলা বর্ন সুতা দিয়া ঝুলায়ে রাখে। তারমানে এই দড়িটা হচ্ছে অনেকগুলা বর্নের সমষ্টি যেটাকে হচ্ছে ইংরেজিতে বলে হচ্ছে স্ট্রিং।
রিক্সার দিয়ে ঘুরা


image


আর একটা বিষয় হচ্ছে। ধরেন, আপনার বান্ধবী যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে “আমাদের ফাস্ট রিক্সার হুড তুলে দিয়ে ঘুরার দিবস কবে?” আপনি হয়তো বিপদে পরে যাবেন। আন্দাজে কোন একটা তারিখের কথা বলতে হবে। কিন্তু আপনাকে যে উত্তরটা দিতে হবে সেটা কিন্তু কোন সংখ্যা বা বর্নের সমষ্টি হইলে হবে না আপনাকে বলতে হবে কোন একটা তারিখ, তারমানে এটা হচ্ছে আর একটা আরেকটা ডিফারেন্ট টাইপ এর ভেরিএবল।
টেকাটুকা


আর লাস্ট যেটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ধরেন আপনার আপুর হাত ব্যাগ থেকে দুইটা ১০০০ টাকার নোট হারানো গেছে। সেতো রাগে কটমট করতে করতে আপনার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, এই হয় হ্যাঁ অথবা না বলবি। তুই কি আমার ব্যাগ থেকে ১০০০ টাকার দুইটা নোট সরাইছিস? তখন আপনাকে যে উত্তর দিতে হবে, সেটা হচ্ছে হ্যাঁ অথবা না। কিন্তু আপনি কোন সংখ্যা বর্ন বা তারিখ বলতে পারবেন না।
যা যা শিখলাম


তারমানে, প্রোগ্রামিং হচ্ছে অনেকগুলা খুচরা খচরা ছোট খাটো কাজের সমষ্টি যেটা আগে থেকে কেউ একজন বলে দেয় বা শিখায়ে দেয় এবং আপনি যখন ওইটা করতে


image





বলেন, তখন সে নিজে নিজে ওই স্টেপ গুলা ফলো করে আপনাকে আউটপুটটা দিয়ে দিবে।


আর ভারিএবেল হচ্ছে কোন একটা জিনিস যার ভেলু বা মান পরিবর্তিত বা চেইঞ্জ হইতে পারে এবং তার একটা নাম থাকবে, আপনি যখন ওই নাম ধরে জিজ্ঞেস করবেন আপনাকে তখনকার ভেলুটা দিয়ে দিবে। এই ভেরিএবেল গুলা আবার অনেকগুলা টাইপের হইতে পারে। যেমন সংখ্যা, বর্নের সমষ্টি, তারিখ অথবা হ্যা না টাইপ।


এর পরেও আপনার কাছে যদি এই জিনিসগুলা কঠিন মনে হয় তাইলে প্রোগ্রামিং মানে হচ্ছে লিটন ভাইয়ের চা বানানো এবং ভেরিএবল মানে হচ্ছে আধা কেজি চালের দাম।

 সোর্স "Jhankar Mahbub"



talenthouse24/hasnablog








হেরে যাওয়াই ব্যর্থতা নয়

image


Motivate yourself



পিছিয়ে পড়ার মানেই, নিঃশেষ হয়ে যাওয়া নয়। প্রিয়জন ছেড়ে যাওয়ার মানেই, বেচে থাকাটা মূল্যহীন হয়ে যাওয়া নয়। এক দরজা থেকে ফিরিয়ে দেয়ার মানেই, সব দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়। কারণ, জীবনের খেলায় কেউ দু-চার দিনে অল-আউট হয় না। লাইফের টিভি সিরিয়াল, আট-দশটা এপিসোড হয়েই বন্ধ হয়ে যায় না। এক সাবজেক্ট বা এক সেমিস্টারের রেজাল্ট দিয়ে অনার্স-মাস্টার্সের ওভারঅল সিজিপিএ নির্ধারিত হয় না।


তোমার ব্যর্থতার মানে, তোমার ভুল শুধরানোর সুযোগ। তোমার পিছিয়ে পড়ার মানে, স্কিল ডেভেলপ করতে উদ্বুদ্ধ করা। তোমাকে ধোঁকা দেয়ার মানে, বিকল্প উপায়ে চেষ্টা করার তাগিদ দেয়া। পরীক্ষায় বাম্বু খাওয়ার মানে, পড়ালেখার ব্যাপারে সিরিয়াস হতে সতর্ক করে দেয়া। চাকরির ইন্টারভিউতে রিজেক্ট হওয়ার মানে, পরের ইন্টারভিউর জন্য ১০গুন ভালো প্রিপারেশন নিতে ইঙ্গিত দেয়া।

কোদাল খুঁজে না পাওয়ার মানে, একটু বেশি কষ্ট করে ছুরি বা গাছের ডাল দিয়েও মাটি খোঁড়ার ডেডিকেশন আছে কিনা যাচাই করা। উঠানের গাছ মরে যাওয়ার মানে, খালের পাড়ে-নদীর ধারে চারা লাগাতে উৎসাহ দেয়া।


জীবনে ধোঁকা খাওয়া, বোকা হওয়া- সমস্যা না। পরীক্ষার লাড্ডু পাওয়া, ছ্যাঁকা খাওয়াও- সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে- সাময়িক ব্যর্থতা দেখে দমে যাওয়া। আশানুরূপ ফল না দেখে, রাস্তা ছেড়ে দেওয়া। ক্লান্ত হয়ে লক্ষ্য ভুলে যাওয়া। দৌড়ে যে প্রথম হচ্ছে তার সাথে নিজেকে তুলনা করে হতাশ হয়ো না। বরং তুমি দৌড়ে ২০তম হলে তোমার কম্পিটিশন হবে ১৯তম এর সাথে। তাকে পিছনে ফেলতে পারলে ১৮তম এর সাথে টেক্কা দিবে। এইভাবে এক এক করে সামনে এগুতে পারলে, যখন প্রথম তিন-চার জনে আসবে তখন ১ম জনের সাথে নিজেকে তুলনা করো।


শুনো, তোমার বাসায়, পকেটের টাকায়, মনের জানালায় হাজারটা সমস্যা থাকতে পারে। রাতের গরমে, ছারপোকার কামড়ে তোমার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারে। তোমার বন্ধুদের প্রেমিকাসহ ফুচকা খাওয়ার ছবি দেখে তোমার অন্তর হাহাকার করে উঠতে পারে। তবে আজকের দিনটা চলে গেলে, ক্যালেন্ডারের পাতাটা উল্টে গেলে, পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব কিন্তু চূড়ান্ত হয়ে যাবে। জীবন বেশি উপভোগ করতে গিয়ে, অনুশোচনা করো না। এক্সট্রা মজা নিতে গিয়ে, এক্সট্রা সাজা জুটিয়ে ফেলো না। আনন্দ আর ইফোর্ট এর মধ্যে ব্যালেন্স রেখো। একদিন রিলাক্স করে, আড্ডা মেরে, ছয়দিন ফুল স্পিডে কাজ করার এনার্জি সঞ্চয় করো। লেগে থাকো। দেখবে, শত শত লাত্থি উষ্ঠা খেয়েও ঠিকই ঘুরে দাড়িয়ে গেছো।


সঙ্গেই থাকুন হাসান ব্লগের
হুট হাট করে মাঝে মধ্যে লেখা আসবে

Sunday, July 7, 2019

২০২০ সালের মধ্যে আসছে ফোল্ডেবল 5G আইপ্যাড!

২০২০ সালের মধ্যে আসছে ফোল্ডেবল 5G আইপ্যাড!


image

অনেক রিপোর্ট থেকে হিন্টস পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপেল ফোল্ডেবল ডিসপ্লে যুক্ত করে ডিভাইজ বাজারে 
আনতে পারে। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো শোনা যাচ্ছে তারা ফোল্ডেবল আইপ্যাড নিয়ে কাজ করছে। এক লেটেস্ট সোর্স থেকে জানা গেছে অ্যাপেলের নতুন ৫জি পাওয়ারড আইপ্যাড যেটাতে কিনা থাকবে ফোল্ডেবল ডিসপ্লে আর ২০২০ সালের মধ্যে এই আইপ্যাডকে বাজারে উন্মুক্ত হতে দেখা যেতে পারে!

নিউজ লিকারের মতে এটি প্রথম ৫জি এনাবল্ড বিজনেস ফিচারড ট্যাবলেট হবে, যেটার স্ক্রীন সাইজ বর্তমান ম্যাকবুক লাইনের কাছাকাছি হতে পারে। ২০২০ সালের ট্যাবে 3D মডেল ক্যাপচার করা যাবে এবং অ্যাপেল পেন্সিল ইউজ করে 3D মডেল এডিট করা যাবে।

যদিও সৌভাগ্যবশত হয়তো আইফোন আগেই ৫জি ফিচার পেয়ে যাবে, কিন্তু এই আইপ্যাড ও ৫জি নেটওয়ার্ক সাপোর্টেড হবে। অ্যাপেল যদি সত্যিই কোন ফোল্ডেবল ডিসপ্লে যুক্ত করে ডিভাইজ তৈরি করতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের বহুবার ব্যাপারটি ভেবে দেখতে হবে। স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড তারাহুরো করে ডিভাইজ বাজারে এনেই বিপদে পরে গিয়েছিল। অনেক রিভিউ ইউনিটের ডিসপ্লেতে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছিলো, ফলে ডিভাইজটির লঞ্চ বন্ধ করতে হয় স্যামসাং কে। ঠিক কবে গ্যালাক্সি ফোল্ড বাজারে আসবে এই নিয়ে কোনই আপডেট নেই বর্তমানে!


সঙ্গেই থাকুন হাসান ব্লগের

কিভাবে Robots.txt ফাইল ব্লগে যুক্ত করতে হয়? জেনে নিন বিস্তারিত।


আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন । তাহলে আজকের পোষ্টটি আপনার জন্য খুবেই গুরুত্বপুর্ন।


অনেক ব্লগারই আছেন যারা Robots.txt অপশন ভালভাবে বুঝেন না কিংবা কখনো এ অপশনটি নিয়ে মাথা ঘামান না। তারা মনে করেন যে, এ অপশনটি কোন কাজের নয় বিাধয় এটি খালি রেখে দেন। সত্যি বলতে এ অপশনটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন না করে ব্লগিং চালিয়ে গেলে আপনার ব্লগে পর্যাপ্ত ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এটির মাধ্যমে গুগলে আপনার র‍্যাংকিং বেরে জায় এবং আপনার ব্লগের ট্রাফিকও বেরে যায়। এই জন্য এটি একটিভ করার আগে আপনার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া দরকার। এ সম্পর্কে জেনে বুঝে কাজ না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।মানে খাল কেটে কুমির আনা অথবা নিজের পায়ে নিজে কুরাল মারার মত আরকি? । তাহলে আর বিলম্ব না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।

Robots.txt ফাইল কি?

প্রত্যেক সার্চ ইঞ্জিনেরই নিজস্ব ওয়েব রোবট রয়েছে। আপনি হয়তো ভাবছেন এটি কি রজনি কান্তের হিন্দি সিনেমার রোবটের মত। আসলে এটি এই ধরনের কিছু না। এটি হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের যত প্রকার ওয়েবসাইট আছে তা পরীক্ষা করার জন্য এক ধরনের ওয়েব ফাংশন, যাকে রোবট নামে আখ্যায়িত করা হয়। আর Robots.txt ফাইল এর মাধ্যমে ঐ রোবটদের নির্দেশ করা হয় যে, আপনার ব্লগ/ওয়েবসাটটি সে Crawl এবং Index করবে কি না। আপনি ইচ্ছে করলে এই Robot.txt ফাইল ব্যবহার করে রোবটকে Crawl এবং Index করার অনুমতি দিতে পারেন আবার নাও দিতে পারেন। আবার আপনি ইচ্ছে করলে আপনার প্রয়োজনমত কিছু পোষ্ট Crawl এবং Index করার অনুমতি দিতে পারেন আবার কিছু পোষ্ট Crawl এবং Index করার অনুমতি নাও দিতে পারেন।


কিভাবে এই Robots.txt ফাইল কাজ করেঃ Robots.txt ফাইল হচ্ছে বিমান বন্দরের ফ্লাইট ঘোষকের মত। সে যে ভাবে ফ্লাইট হওয়ার সময় হলে যাত্রীদের যথাসময়ে বিমানের উঠার জন্য বলে দেয়, তেমনি Robots.txt ফাইলও সার্চ ইঞ্জিন গুলির রোবট যখন Crawl করার সময় হয়, তখন তার ব্লগের নতুন পোষ্ট গুলি Index করার কথা বলে দেয়। ফলে আপনার সদ্য পোষ্ট করা নতুন আর্টিকেল সহজে সার্চ ইঞ্জিনে চলে আসে।


User-agent: Mediapartners-Google

Disallow:

User-agent: *

Disallow: /search

Allow: /

Sitemap: http://YOUR BLOG NAME/feeds/posts/default?orderby=UPDATED


বেশীর ভাগ ব্লগ এর Robots.txt ফাইল এই ধরনের হয়ে থাকে। হয়তবা আপনিও কখনো না বুঝে আপনার ব্লগে ব্যবহার করেছেন কিংবা এখনো করছেন। আমি চাচ্ছি আপনি এ বিষয়ে পুরোপুরি বুঝে তারপরে এটি ব্লগে যুক্ত করেন। আমি এটিকে দুটি ভাগে ভাগ করে আলাদাভাবে বুঝানো চেষ্ট করবো। প্রথমে আমি এই অংশ গুলিকে নিয়ে এবং পরে এর মধ্যে যে সাংক্ষেতি চিহ্ন আছে সে গুলি নিয়ে আলোচনা করবো।



User-agent: Mediapartners-Google: প্রথমত বলে রাখি User-agent এর মাধ্যমে রোবট সমূহ নির্দেশ করা হয়। এখানে Mediapartners-Google হচ্ছে Google Adsense এর একটি রোবট। আপনি যদি আপনার ব্লগে Google Adsense ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এটি যুক্ত করতে হবে। যদি এই অপশনটি Disallow করে রাখেন তাহলে Adsense রোবট আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপন সম্পর্কে কোন ধরনা পাবে না। আপনি যদি গুগল Adsense ব্যবহার করে না থাকেন, তাহলে এই লাল কালারের লাইন দুটি ডিলিট করে দেবেন।
User-agent:* এর মাধমে সকল ধরনের রোবটদের বুঝানো হচ্ছে। আপনি যখন User-agent এর পরে * চিহ্নটি ব্যবহার করবেন তখনই বুঝাবে যে, আপনি সকল ধরনের রোবটদের নির্দেশ দিচ্ছেন।
Disallow: /search এটি দিয়ে কিওয়ার্ডকে Disallow করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ আপনার ব্লগের ‍Search লিংক গুলিকে Crawl এবং Index না করার জন্য বলা হচ্ছে। যেমন-আপনার ব্লগের Label লিংক গুলি দেখলে দেখতে পাবেন যে, প্রত্যেকটি Label এর লিংকের আগে এই Search শব্দটি আছে। এই জন্য Label লিংক গুলি Crawl না করার জন্য রোবটকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কারণ Label লিংক গুলি সার্চ ইঞ্জিনে Index করানোর প্রয়োজন হয় না।
Allow: / এটির মাধ্যমে কিওয়ার্ডকে Allow করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এই '/' চিহ্নটির মানে হচ্ছে রোবট আপনার ব্লগের Home Page কে Crawl এবং Index করবে। যেমন-আপনি Google Webmaster Tools সাইট সাবমিট করার পর দেখতে পাবেন Google Webmaster Tools সবসময় আপনার পোষ্ট এর চাইতে একটি বেশী পোষ্ট Index করছে। আসলে বেশী নয়, এটি আপনার Home Page টিও গননা করছে।
Sitemap: আপনি যখন নতুন পোষ্ট করবেন তখন এটি রোবটদের বলে দেবে নতুন পোষ্ট গুলি Index করার জন্য। পত্যেক ডিফল্ট ব্লগারের একটি Sitemap থাকে। কিন্তু ডিফল্টভাবে ২৫ টির বেশী পোষ্ট Index করে না। এই জন্য এই Sitemap লিংকটি Robots.txt ফাইলে যুক্ত করার পাশাপাশি Google Webmaster Tools এ সাবমিট করতে হয়।

কিভাবে ব্লগে যুক্ত করবেনঃ


ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে Settings > Search Preference এ ক্লিক করুন।

তারপর Custom Robots.txt এর Edit বাটনে ক্লিক করুন।

এরপর Enable custom robots.txt conten এর Yes এ ক্লিক করলে একটি বক্স দেখতে পাবেন। এই বক্সে উপরের কোডগুলি কপি করে পেষ্ট করুন।

তারপর Save এ ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন। That's All.

ব্যাস আপনার কাজ ও চিন্তা উভয়েই শেষ।


সঙ্গেই থাকুন হাসান ব্লগের

তোমার জন্য হে গনিত!

                                                                   হায়রে গনিত!
তোমার জন্য হে গনিত !
                     কত ছাত্র-ছাত্রী স্কুল পালাল।
কত  ছাত্র-ছাত্রী যে ,
                     প্রাইভেট কুচিং এ গেল
কত ছাত্র-ছাত্রী তোমায় মুখস্ত করতে গিয়ে,
                     পরার টেবিলে ঘুমিয়ে পরল।

           তবু পাশ করতে পারলো না!
  তোমার জন্য হে গনিত শুধু তোমার জন্য।

তোমার নামটি শুনলে আমার
                       গায়ে আশে জ্বর।
দেখি আপনজনের মুখ
                       তবুও লাগে পর।

      কেন হে গনিত তুমি এত স্বার্থপর!

তোমাকে বুঝতে গিয়ে ছিড়ল  বইয়ের  পাতা
চুলগুলো সব   উপরে গেল  টাক্কু হল মাথা।

তোমাকেই বুঝতে গিয়ে ফুরাল কলম কালি
ক্লাসে কত মাইর  খাইলাম টিচার দিল গালি।

অবশেষে,

বুঝলাম তুমি অনেক সহজ হাসান চমক ভাইয়ের কাছে।
সেই খুসিতে মনটা আমার তাকধিনাধিন নাছে।


সঙ্গেই থাকুন হাসান ব্লগের

                 
        

ফ্রিল্যান্সিং কি ?খায় ? পিন্দে ? না মাথায় দেয়?





image



talenthouse24: হাসান ব্লগঃ 

মোবাইল ? কম্পিউটার? ফেসবুক ? ইন্টারনেট? ছি ! ছি!  এসবের কথা বলনা আমায়, এগুলো নাপাক , এ সব লুচ্চারা চালায় । এ ধরনের বাজে ধারনা এখনো অনেক বাঙ্গালিই তাদের বৃকিত মস্তিস্কে ধারন করে থাকে। বেশির ভাগ বাঙ্গালি ছেলে-মেয়ে এই ধারনা থেকে দূরে অবস্থান করলেও তাদের মাথায় যে সঠিক ধারনার গজন ধরেছে তা ভাটাও বোকামি। আমি যখন এই পোষ্টটি লিখছি তখন বাংলাদেসে ফেসবুক ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটির ও বেশি। ভেতো বাঙ্গালির দেশে অন্তর্জাল বা ইন্টারনেট শুরুর দিকে ছিল বড়লোকেদের বিলাসিতার দ্রব্য। এরপর কেটে গেছে অনেকটা সময়। ইন্টারনেট এখন বনেদি ব্যবসায়ী থেকে পাড়ার মুদির দোকানদার পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। তবে বাঙ্গালির ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা কিন্তু পাল্টায়নি। অন্তর্জালের ব্যাপারটা এখনো অধিকাংশের কাছে নিখাদ বিনোদনের মাধ্যম, আর কিছুই নয়। যে ছেলেটা ফেসবুকের মাধ্যমেই আয় করে, হাতখরচটা ফেসবুকই এনে দেয়- তাকে তার মা হয়তো এখনো বলেন,


“কি করিস সারাদিন ফেসবুকে? সুন্দরী মেয়েদের ছবি দেখিস খালি? আজ খবর আছে তোর। উনি খালি আসুক আগে অফিস থেকে!”।


থাক সে সব কথা। ফ্রিল্যান্সিং নামটা শুনে হয়তো অনেকেই চোখ কপালে তুলে ভাবছেন, এসব তো প্রোগ্রামার, কম্পিউটার এক্সপার্টের কাজ। এসব জেনে আমাদের কি লাভ? শুনে অবাক হবেন, ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটার সাথে সেসবের তেমন সম্পর্কই নেই! হ্যাঁ, অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটায় এক্সপার্ট হতে হলে কম্পিউটার না্মক যন্ত্রটির সাথে ভালোই খাতির থাকা লাগে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সিএসই থেকে ডিগ্রি থাকা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে। ঘরে বসেই অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শেখা সম্ভব। ব্যাপারটা খোলাসা করে বলা যাক।
ফ্রিল্যান্সিং কি?


ফ্রিল্যান্সিং প্রথম শুরু হয়েছিলো ১৯৯৮ সালের দিকে। অনলাইনে একটা মার্কেটপ্লেস খোলা হয়েছিলো, সেখান থেকেই বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরু। ব্যাপারটা বেশ মজাদার। ধরাবাধা অফিস টাইম নেই, যখন ইচ্ছে কাজ করলেই হলো! এই কাজ হতে পারে বিভিন্ন রকম। ওয়েব ডিজাইনিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইনিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল লেখা বা ডাটা এন্ট্রি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়।
ঘুরে আসুন: ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের ১০টি উপায়


এখানে দুই পক্ষ থাকেন। ক্লায়েন্ট আর ফ্রিল্যান্সার। ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে বিভিন্ন কাজ দিয়ে থাকেন, আর একটা নির্দিষ্ট সময়ের (যেটি ফ্রিল্যান্সারের ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করা হয়) মধ্যে কাজ শেষ করে ক্লায়েন্টকে পাঠিয়ে দিতে হয়। ক্লায়েন্টের সাথে কাজ শুরুর আগেই চুক্তি করা হয় পারিশ্রমিক নিয়ে। কাজ হয়ে গেলে, ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়। ব্যস, হয়ে গেল একটি সফলফ্রিল্যান্সিং! হাসানব্লগ।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলেঃ


প্রথমে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, সে বিষয়ে ছোটখাটো একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে যেতে হবে আপনাকে। আপনি যদি কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেশি কাজ পাবেন। এখানে বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই অবাঙ্গালী হয়ে থাকেন। তাই তাদের সাথে যোগাযোগের জন্যেইংরেজি ভাষাটা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যতো অভিজ্ঞতা, কাজ পাবার সম্ভাবনা ততো বেশি।


পৃথীবির অনেকদেশ এমন কি আমেরিকার মত দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অবসর সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করে।


মনে রাখবেন তারা উন্নত বলেই সব পারে তা কিন্তু নয় বরং তারা সব পারে বলেই উন্নত।

সঙ্গেই থাকুন হাসান ব্লগের