Apps review


ছবি ও ভিডিওর সৌন্দর্য বাড়াবে যে অ্যাপ। 

ফটো ও ভিডিও এডিট করার দুর্দান্ত একটি এপস।




ছবি তোলার সময়ই ফিল্টার থেকে ছবিটি কেমন হবে তা দেখে নেওয়ার সুযোগ আছে। তাহলে পরে আর ছবি এডিটিংয়ে সময় দিতে হবে না।

কেননা স্মার্টফোন দিয়ে ছবি তোলার পর সেটিকে আরও সুন্দর করতে অনেকেই ফিল্টার ব্যবহার করেন। এরপর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন।

তোলার সময়ই ছবি ফিল্টার করার তেমনি একটি অ্যাপ হলো রেটরিকা (retrica)।

অ্যাপটির সাহায্যে ছবি তোলার সময়ই বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার দিয়ে দেখে নেওয়া যাবে ছবিটি বা ভিডিওটি কেমন হবে।

এক নজরে অ্যাপটির ফিচারগুলো






অ্যাপটিতে দারুণ ক্যামেরা ফিল্টার রয়েছে। ক্লিক করার সময়ই দেখে নেওয়া যাবে ছবি বা ভিডিওটি কেমন দেখাবে। ১০০টির বেশি ফিল্টার মিলবে অ্যাপটিতে।

ছবিতে কালার পপের প্রয়োজন হলে তা অ্যাপটির সাহায্য করে নেওয়া যাবে। পছন্দমত রঙের ফিল্টার দেওয়া যাবে ছবিতে।

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিআইএফ ভিডিও বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এটির মাধ্যমে জিআইএফ ভিডিও তৈরি করা সম্ভব।

অনেকগুলো ছবি একত্রে যুক্ত করে কোলাজ ছবি সহজেই তৈরি করা যাবে এটির মাধ্যমে।

ছবিকে মজাদার করতে অনেক ফান স্টিকার, ডুডল রয়েছে এতে। যেগুলো ব্যবহার করে সেলফিকে আরও আকষর্ণীয় করা যাবে।

অ্যাপটির মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও সম্পাদান করার পর চাইলে তা সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা যাবে।

অ্যাপটিতে একটি কমিনিউটি অপশন রয়েছে। চাইলে আপনার ছবিটি অ্যাপে আপলোড করতে পারেন। অন্য কোন বন্ধুকে ফলোও করতে পারবেন।

এ ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। ৪.৩ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি এক কোটির বেশি ডাউনলোড হয়েছে গুগল প্লে থেকে।


















যে ৩ অ্যাপে কাটবে ফোনের আসক্তি






ফোনে থাকা অ্যাপ সময় খেয়ে ফেলছে কম বেশি সবারই। আবার অন্য একটি অ্যাপ তা বাঁচিয়েও দিতে পারে।

পড়াশুনা কিংবা অফিসে কাজের ফাঁকে স্মার্টফোনটি হাতে নিলেন। তারপর কতটা সময় কিভাবে কেটে গেল টেরই পেলেন না।

ফোনে থাকা আকষর্ণীয় বিভিন্ন অ্যাপে ডুবে থাকার কারণেই এমনটি হয়। এতে পড়া বা কাজের বেশ ক্ষতি হয়।

এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন অ্যাপের মাধ্যমে। আপনার আসক্তি কমাতে নামিয়ে নিতে পারেন পছন্দের অ্যাপ। এমন বেশ কয়েকটি অ্যাপের মধ্যে আজ থাকছে দু’টির কথা।

আসক্তির লেভেল জানাবে ইউর আওয়ার
অনেকেরই ধারণ স্মার্টফোন ছাড়া একদিনও থাকা সম্ভব নয়। আপনার আসক্তির লেভেল কম না বেশি, তা জানতে ফোনে ইন্সটল করে নিতে পারেন ‘ইউর আওয়ার’ অ্যাপটি।

অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ফোন ব্যবহারের ধরণ অনুযায়ী বলে দেবে আসক্তির লেভেল সম্পর্কে। তারপর আসক্তি কাটিয়ে উঠতেও সহায়তা করবে এটি।

ব্যবহারকারীরা এটির মাধ্যমে প্রতিদিন কতটুকু সময় ফোনে কাটাবেন সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে আসক্তি কমাতে পারবেন।

অ্যাপটির সাহায্যে কত সময় ফোনের স্ক্রিন অন ছিল, কোন সময় কোন অ্যাপ ব্যবহার করেছেন ইত্যাদি তথ্য টাইমলাইন আকারে পাওয়া যাবে।

৪.৫ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি ১০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এ ঠিকানা থেকে ৯.০ মেগাবাইটের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।

অ্যাপব্লকার
এ অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো অ্যাপ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্লক করা যাবে। তাই চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপগুলো ব্লক করে রাখতে পারবেন কাজের সময়।

যে কোনো অ্যাপ্লিকেশনের নোটিফিকেশন আলাদাভাবে বন্ধ করে রাখা যাবে। পরে আনব্লক করলে নোটিফিকেশনগুলো দেখে নেওয়া যাবে।

এতে রয়েছে পাসওয়ার্ড দেয়ার সুবিধা। ফলে অন্য কেউ চাইলে সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে না।

প্রতিদিন টাইম লিমিট করে দিতে পারেন।

৪.২ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি পাঁচ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এ ঠিকানা থেকে ৫.৭ মেগাবাইটের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।

স্টে ফোকাস
ধরুণ, আপনি ফোন হাতে নিয়ে একটু পরপরই ফেইসবুকে ঢু মারেন। প্রতিদিন ৩০-৪০ বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপটি চালু করেন। এ আসক্তি কমাতে সহায়তা করতে পারবে অ্যাপটি।

এটির মাধ্যমে প্রতিদিন কতবার ফেইসবুক অ্যাপ চালু করেন বা কত সময় চালাচ্ছেন এমন হিসাব জানতে পারবেন। তা থেকে কতটা সময় নষ্ট হচ্ছে তা জেনে নিতে পারবেন।

এটির মাধ্যমে আপনি ফোনে থাকা কোন অ্যাপ কতবার চালু করবেন তা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। পরে অ্যাপটি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে আপনি সীমার চেয়ে বেশি কতবার অ্যাপটি ব্যবহার করতে চাইছেন।

এ অ্যাপে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন।

এ ছাড়া এটিতে কুইক অ্যাপ ব্লকসহ বিভিন্ন ফিচার পাওয়া যাবে।

৪.৫ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি পাঁচ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এ ঠিকানা থেকে ৪.৬ মেগাবাইটের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।







আসল কাজের কাজি তিন  অ্যাপ।
জেনে নিন তিন টি প্রেয়জনীয় অ্যাপ সম্পর্কে যেগুলা আপনার কাজে হেল্প করবে।

প্রতিদিন ব্যস্ত সময়ের ভিড়ে প্রয়োজনীয় কাজটি করতে ভুলে যান অনেকেই।

পরীক্ষা, মিটিং কিংবা ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট জমা দেয়ার মতো বিষয়গুলোতে সময় ও তারিখ ভুলে যাওয়ার ঘটনা হরহামেশায় ঘটে। ফলে পড়তে হয় বিপাকে। এতে বেশি সমস্যায় পড়েন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা।

এমন ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে হাতে থাকা স্মার্টফোনে কিছু কাজের অ‍্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করে নিতে পারেন। সে অ‍্যাপগুলো আপনার কাজের চাপের মধ্যেও সবকিছু মনে করাবে।

টাইম টিউন
প্রতিদিনের কজের রুটিন তৈরির জন্য একটি চমৎকার অ্যাপ্লিকেশন এটি। বিশেষ করে, স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি অ্যাপ্লিকেশন। অ্যাপটি আপনার ঘুম থেকে শুরু করে কাজের সময়, অবসর সময়, ঘুরতে যাওয়ার সময়, আড্ডার সময় সবকিছুরই হিসাব রাখবে। এতে করে আপনি আপনার প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের উপর একটি চমৎকার গ্রাফ পাবেন।

এই ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। ৪.৬ রেটি প্রাপ্ত অ্যাপটি গুগল প্লেস্টোরে প্রায় ১০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।

গুগল ক্যালেন্ডার
এটি গুগলের নিজস্ব ক্যালেন্ডার অ্যাপ। সময়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত অ্যাপটির আপডেট করা হয়। স্মরণীয় মুহূর্তগুলো এখানে সংরক্ষণ রাখতে পারেন, যা আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে জমা থাকবে।

তবে অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ব্যবহার হয় বিভিন্ন মাসে কাজের তালিকা তৈরি করার জন্য। এখানে রয়েছে নোটিফিকেশন সিস্টেম। ধরুন আগামী মাসের ১৫ তারিখ আপনার কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে এবং আপনি চাচ্ছেন ১০ তারিখে যেন আপনাকে কাজের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে এক্ষেত্রে গুগল ক্যালেন্ডার আপনার জন্য একটি প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন হতে পারে। বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডিফল্ট হিসেবে অ্যাপটি ইন্সটল থাকে।

যদি না থাকে তাহলে এই ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন। আইওএস ব্যবহারকারীরা এই ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

এভার নোট
নোট নেয়ার জন্য বহুল ব্যবহৃত অ্যাপের নাম ‘এভার নোট’। অনেকগুলো চমৎকার ফিচার রয়েছে এতে। উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলো হলো, বিভিন্ন নোটের ধরন, নোটবুক সাপোর্ট, সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্য, সহযোগিতামূলক বৈশিষ্ট্য, নোট ভাগাভাগি এবং ক্রস প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট ফিচার।

এই নোটটি আপনি মোবাইল ও পিসি উভয়ের জন্যই ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইলে লেখা কোনো নোট পিসিতে পেয়ে যাবেন। আবার পিসিতে লেখা নোটগুলোও আপনি মোবাইলে পেয়ে যাবেন। এভাবে আপনি বাসায় বসে মোবাইলে কিছু নোট করলেন সেটা অফিসের পিসিতে পেয়ে যাচ্ছেন। একজন ইউজারের কাছে কোনো নোট শেয়ার করতে চাইলে শেয়ার অপশনে গিয়ে তার ইউজার নেমটি লিখে দিলেই হবে।

এখান থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। এটি গুগল প্লেস্টোর থেকে প্রায় ১০ কোটির বেশি ডাউনলোড হয়েছে।

No comments: