Saturday, August 24, 2019

গলি বয় পার্ট ৩ (Gullyboy part 3)

 গলি বয় পার্ট ৩, gullyboy part3,গলিবয় ৩

গলিবয় ৩ঃ
তবিব মাহমুদ ভাইয়ের লেখা গলি বয় রানা কে নিয়ে লেখা গান গলি বয় শিরিজের গলি বয় পার্ট ৩ গানটি মুক্তি পেল আজ ২৫ আগষ্ট  দুপুর ১২.০০ টার সময়। গানটি রিলিজ হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে ১ লক্ষ ভিউ হয়েছে । গলি বয় পার্ট ৩ গানটি রিলিজ হয় তবিব মাহমুদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যালেন Tabib Mahmud থেকে । আপনি চাইলে Tabib Mahmud চ্যানেল থেকে গানটি একবার দেখে আসতে পারেন।গানটি মুলত পথ শিশু  দের নিয়ে লেখা। এখানে মুলত পথ শিশুদের অধিকার প্রতিষ্টা করার জন্য আমাদের তথা সরকারের কি করনিয় তাই তিনি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন । এ ছাড়াও তিনে এখানে কাশমির ইশুর প্রতি একটু ইঙ্গিত করেছেন । তাবিব মাহমুদ হলেন ঢাকা ভার্সিটির একজন ছাত্র ।

Lyrics :- দেশে পাচ লাখ তেইশ হাজার কোটি টাকার বাজেট হলো। বিটিভিও আঠারশো আটশট্টি কোটি টাকা পেলো। পথশিশু কি কিছুই পায় না? (র‍্যাপঃ১)
গলিবয় ৩ঃ পাচ লাখ কোটি থেকে পাচশত কোটি দাও তিনশত কোটি দিয়ে স্কুল গড়ে দাও দুইশত কোটি দিয়ে বানাও শপিং মল এই রানা, এই রাজু চল স্কুলে চল টিউশন ফিস থেকে টিচারের মাইনে সরকারের কাছ থেকে কোনোটাই চাইনে আবাসিক স্কুলে থাকবে পথশিশু মার্কেটের আয় দিয়ে চলবে সবকিছু ঘাটতির এ বাজেটে টাকা যদি নাই পান ছোটো করে বলি তবে এইটারো সমাধান বিলাসী পণ্যের ভ্যাট দিন বাড়িয়ে হয়ে যাবে পাচশত কোটি টাকা ছাড়িয়ে মাথাপিছু আয় যদি এত শত ওত হয় আমার ভাগের টাকা করল কি সঞ্চয় চাচ্ছিতো অধিকার চাচ্ছিনা অনুদান বাকী রানাদের তরে এইটারো সমাধান শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জলবে আমাদের ঘর নাই সে কথা কে বলবে? শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জলবে আমাদের ঘর নাই সে কথা কে বলবে? আমাদের বাজেটের আগা আছে মাথা নাই যার আছে সব আছে যার নাই কিছু নাই প্রতিশ্রুতি তুমি পেত্নির ছলনা দোষ দিবে কার তুমি কেউ মোরা ভালো না সূর্যের ভয়ে চোখ লুকিয়েছো চশমায় সূর্যটা ডুবে গেলে আমাদেরো ঘুমপায় আমাদের মায়েদের ঘুম পাড়ানীর গান আমাদের কানে এসে জোরে জোরে ধমকায় কাশ্মীর গিলে খেলো শকুনের ধান্দা ফেরাউন নমরুদ কেউ নাই জিন্দা সবার উপর যদি মানুষ সত্য হয় মানুষের মাঝে তবে যুদ্ধ কাম্য নয় কিছুদিন পর পর অতীতকে ভুলে যাই তবু রানাদের হয়ে কিছু কথা বলে যাই পাচ লাখ কোটি যদি দেশের বাজেট হয় পাচশত কোটি টাকা একাউন্ট বেশী নয় শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জলবে আমাদের ঘর নাই সে কথা কে বলবে? শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জলবে আমাদের ঘর নাই সে কথা কে বলবে? কত রানা বস্তিতে চেয়ে আছে অপলক তোমরাতো বেচে গেছো পেয়ে বাপ বড়লোক ফ্যামিলির হোটেলেতে পেট ভরে খাচ্ছো ঢাকা থেকে আমেরিকা লন্ডন করছো লাভ নেই কোনো যদি পদ্মায় গাড়ি ছুটে শিক্ষার আলো এই কপালেতে নাহি জুটে অন্ধের চোখ আছে ঐ থাকা থাকা নয় আমরাও বেচে আছি এই বাচা বাচা নয় আদর্ষে কালি ঢেলে ভুলে গেছি চেতনা শাড়ি পড়ে বসে আছি তবু মাথা নত না ভুলে গেছি রেসকোর্স বন্ধুর সে ভাষাণ তলাফাটা ডিংগিতে তুলেছি সিংহাসন পরে গেছি খপ্পরে শুনছো কি ভেলকি মেঠো পথে খুন হলো ভেংগে গেলো পালকি রাস্তায় বের হলে ভেতরটা চমকায় এইভাবে বেচে থেকে আমাদের লাভ কী? শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জলবে আমাদের ঘর নাই সে কথা কে বলবে? কে বলবে? কেউ আছে? কে? কেউ নাই? শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জলবে আমাদের ঘর নাই সে কথা কে বলবে? শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জলবে আমাদের ঘর নাই সে কথা কে বলবে?

ফোনকে স্ক্যানার বানাবে ২ অ্যাপ






টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অনেক সময় ডকুমেন্ট স্ক্যান করার প্রয়োজন হয়। স্ক্যানার সব সময় থাকে না বলে কি স্ক্যান আটকে থাকবে?

স্মার্টফোনের এ যুগে স্ক্যানারের বিকল্প হতে পারে আপনার স্মার্টফোনটি। তেমনি দুটি অ্যাপ নিয়ে এ প্রতিবেদন।

ক্যাম স্ক্যানার
কোনো ডকুমেন্ট থেকে কোনো কিছু স্ক্যান করার বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ ক্যাম স্ক্যানার।

এটির সাহায্যে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে স্ক্যানের কাজটি করা যাবে। অর্থাৎ মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি স্ক্যান কপিতে রূপান্তর হবে।

অ্যাপটি স্ক্যান করা ইমেজের টেক্সট ও গ্রাফিক্স ক্লিয়ার ও শার্প করে হাই রেজুলেশনের ডকুমেন্টে রূপান্তর করে।

এটি দিয়ে ডকুমেন্টের নাম এডিট, ওয়াটার মার্ক যুক্ত করা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে ডকুমেন্ট সম্পর্কে টীকা যুক্ত করা যাবে। গোপনীয় ফাইল হয়ে থাকলে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করেও রাখা যাবে।

ক্যাম স্ক্যানারের সাইটে লগ ইন করা থাকলে ফাইলগুলো ক্লাউডে ব্যাকআপ থাকবে এবং এ ফাইলগুলো স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও কম্পিউটার থেকেও এক্সেস করা যাবে।

এ ছাড়া গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্সসহ বেশ কিছু থার্ডপার্টি ক্লাউডে ব্যাকআপ রাখার সুবিধা মিলবে অ্যাপটিতে।

এ ঠিকানা থেকে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন।

৪.৬ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি গুগল প্লে থেকে এক কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে। আইওএস ব্যবহারকারী এ ঠিকানা থেকে অ্যপটি ডাউনলোড করতে পারবেন।

স্ক্যানবুট

অ্যাপটি অনেকটা ক্যাম স্ক্যানার অ্যাপের মতই কাজ করে। এটির সাহায্যে কোনো ডকুমেন্ট স্ক্যান করার পর ফাইলটিকে সরসারি পিডিএফে পরিণত করা যাবে।

স্ক্যান করা ফাইল শেয়ার করতে রয়েছে বিশেষ ফিচার। এ ফিচার ব্যবহার করে গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, ওয়ানড্রাইভে শেয়ার করা যাবে।

অ্যাপটির সাহায্যে ডেস্কটপ অনুযায়ী উচ্চ রেজুলেশনের পিডিএফ তৈরি করা যাবে। অনেক বেশি ফাইল স্ক্যান করা হলে তা সহজে খুঁজে পেতে রয়েছে সার্চ ফিচার।

সম্পূর্ণ অফলাইনে কাজ করবে অ্যাপটি। ফলে একবার ডাউনলোড হলে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে না।

এ ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। ৪.২ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি গুগল প্লে থেকে ১০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।

পটপ্লেয়ার : পিসিতে পছন্দের প্লেয়ার





অনেকেই ডেস্কটপের জন্য ভালো মানের একটি মিডিয়া প্লেয়ার খোঁজেন, যেটি দিয়ে বিভিন্ন ফরম্যাটের ভিডিও কিংবা অডিও ফাইল চালানো যাবে। তাদের জন্য দারুণ অপশন হতে পারে পটপ্লেয়ার।

সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এ লিংকে যেতে হবে। সেখান থেকে কম্পিউটার ধরন অনুযায়ী অ্যাাপটি ডাউনলোড করা যাবে। ডাউনলোড শেষে তা পিসিতে প্রচলিত নিয়মে ইন্সটল করে নিতে হবে।

ডাউনলোড ও ইন্সটলের আগে অবশ্য মিডিয়া প্লেয়ারটির ভালোমন্দ জেনে নিতে পারেন।







ইউআই

ভিডিও প্লেয়ার অ্যাপের ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের ইউসার ইন্টারফেস (ইউআই) ছাড়া ঠিক একটা জমে না। সেদিক বেবচনায় পটপ্লেয়ারের ডিজাইনে কেউ হতাশ হবেন না বলে নিঃসন্দেহে বলে দেয়া যায়।

প্লেয়ারটির সেটিংস থেকে পছন্দমত ডিজাইনও সেট করে নেয়া যাবে। হালকা ও স্ট্যাটাইলিস ডিজাইনের অ্যাপটির সব অপশন খুব সহজভাবে সাজানো, যাতে সবাই এটি স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন।



সাবটাইটেলসহ সিনেমা দেখার জন্য প্লেয়ারটি বেশ কাজের। একাধিক সাবটাইটেল ব্যবহার করাসহ জন্য নানা ধরনের অপশন রয়েছে এতে।



পারফরমেন্স

প্লেয়ার অ্যাপটির পারফরমেন্স নিয়ে কোনো ব্যবহারকারীকে বিড়ম্বনা পোহাতে হবে না। বিভিন্ন ফরম্যাটের ভিডিও কিংবা অডিও চালানো যাবে এটি দিয়ে।

এতে রয়েছে হার্ডওয়্যার অ্যাক্সেলারেসন ব্যবহারের সুবিধা। এতে করে হাই রেজুলেশনের ভিডিও অপেক্ষাকৃত কম কনফিগারেশনের কম্পিউটারে চালানো যাবে।



প্লেয়ারটি ডিস্কটপের স্টোরেজে থাকা মিডিয়া ফাইল ছাড়াও ওয়েব ঠিকনা ও এফটিপি সার্ভার থেকে ভিডিও প্লে করতে পারে।

এ ছাড়া টুকটাক কিছু ভিডিও সম্পাদনার কাজও এ সফটওয়্যার থেকেই সেরে নেয়া যাবে।

প্লেয়ারটি একাধিক ফরম্যাটের সাবটাইটেল সমর্থন করে। এ ছাড়াও থ্রিডি চশমা ব্যবহার করে যে কোনো থ্রিডি ভিডিও উপভোগ করা যাবে।











Hasanalmahmud want to be a SEO expert in Bangaldesh for the world.


hasanalmahmud



Hi everyone I am hasanalmahmud here. Today I am going to share how to become a SEO expert and how many things should you learn for make your self a SEO expert. hasanalmahmud is a persone who learn seo totally from google and youtube uncle . If you learn SEO, webdesign and developement,graphics design, data antry, wordpress coustojmazation, wordpress theme development etc.google and youtube is the market. No more today, see you again

Friday, August 23, 2019

hasanblog create his logo easily by wix logo maker.


hasanblog, hasanblog




Hi there welcome in hasanblog . Today i discuss with you how i create my logo for hasanblog easily by using wix logo maker. First off all you know that wix logo maker is a wosom logo maker website. For make your own website logo at first you need to go wix.com logo maker and create account then start to make your own logo perfectly. 

Thursday, August 15, 2019

গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর – পর্ব ০৫

হাসান ব্লগ/ hasanblog/ talenthouse24

গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে ৫ম আর্টিকেলে সবাইকে স্বাগতম। পুরো সিরিজ আর্টিকেলে আপনাদের আগ্রহ ব্যাস্ততার মাঝেও আমাকে লিখতে  উৎসাহ যোগাচ্ছে।
যারা “গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে আমার  লেখা  ১ম , ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ  আর্টিকেল টি পড়েন নি,  আশাকরি তারা এই সিরিজির আগের আর্টিকেল গুলো পড়ে নিবেন।
পূর্বের আর্টিকেলে আমরা মূলত  “গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাকিং ফ্যাক্টর”  গুলোর ব্যাকলিংক ফ্যাক্টর নিয়ে জেনেছি এ পর্বেও ব্যাকলিংকের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা করবো।
চলুন শুরু করা যাক….
৫১.  কম্পিটিটর লিংক –  ওয়েবপেজকে গুগলের সার্চ রেজাল্টের ১ম পেজে আনার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের লিংকবিল্ডি স্ট্রাটেজি ব্যবহার করে থাকি। এর মধ্যে আপনার ই কোনো কম্পিটিটর থেকে যদি আপনি লিংক নিতে পারেন তবে অন্যান্ন যেকোনো লিংকের থেকে কম্পিটিটরের থেকে পাওয়া লিংক কে গুগল বেশি  ভ্যালু দিবে।
যে প্রশ্নটা সবার আগে আসবে, তা হলো….. কম্পিটির এর থেকে কিভাবে লিংক পাবো? (খুব শীঘ্রই লিংক বিল্ডিং স্ট্রাটেজি নিয়ে সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ হবে)



সব থেকে সহজ এবং গুরুত্বপূর্ন উত্তরহলো “কন্টেন্ট”। কম্পিটিরের থেকে আপনাকে লিংক পেতে হলে আপনার কন্টেন্টের কোয়ালিটি কতে হবে খুবই ভালো মানের যাতে করে আপনার কম্পিটিটর নিজ থেকেই আপনাকে লিংক দিতে আগ্রহী হয়।
৫২. স্পামি/ খারাপ লিংক  – যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য স্পামি লিংক খুবই খারাপ একটি ব্যাপার। আপনি SEO ইন্ডাস্ট্রি তে কাজ করলে হয়তো “Negative SEO” টার্মটি সম্পর্কে কখনো না কখনো শুনেছেন।মূলত স্পামি,পর্ন এবং বিভিন্ন ধরনের খারাপ ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক করাকেই Negative SEO বলে।  কেউ কেউ তার কম্পিটিরের ওয়েবসাইটকে আউটর‌্যাংক করানোর জন্য Negative SEO করে থাকে।  তাই আপনার সবসময় সতর্ক থাকতে হবে আপনার ওয়েবসাইট টি যেনো কোনো ভাবেই Negative SEO এর কবলে পড়ে। তারপর ও কোনোভাবে সাইট  Negative SEO দ্বারা আক্রান্ত হলে সার্চ কনসোল থেকে লিংক ডিজভাও করে দিতে হবে।
৫৩. গেষ্ট পোষ্ট  – গেষ্ট পোষ্ট ওয়েবাসইটের ব্যাকলিংক স্ট্রাটেজির অন্যতম প্রধান ফ্যাক্টর। নিশ রিলেভেন্ট বিভিন্ন সাইটে আপনি গেষ্ট হিসেবে কন্টেন্ট লিখতে পারেন। এবং আপনার লেখা পোষ্ট থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য লিংক নিতে পারেন। এই স্ট্রেটেজি টা SEO ইন্ডাস্ট্রিতে সবথেকে বহুল প্রচলিল এবং জনপ্রিয় একটি স্ট্রেটেজি।
একটা সময় ছিলো যখন নিশ রিলেভেন্ট ব্লগের মালিকদের মেইল করে কন্টেন্ট পাবলিশের অফার করে সেখান থেকে লিংক নেয়া যেতো। কিন্ত এখন যেহেতু  SEO ইন্ডাস্ট্রি টা খুব বেশি কম্পিটিশ তাই  শুধু শুধু লিংক পাওয়া যায়না বললেই চলে।
কোনো ব্লগ Owner কে মেইল পাঠানোর পর সে যদি গেষ্ট পোষ্টের জন্য ২০/৫০/১০০ ডলার চেয়ে বসে তাহলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। যদিও গুগলের কমিউনিটি গাইডলাইনে এ ব্যাপারে স্পষ্ট বলা আছে যে লিংক নিতে হবে ন্যাচারাল ওয়েতে।  গেষ্ট পোষ্ট থেকে লিংক নেয়ার আগে সাইট টি আপনার নিশ রিলেভেন্ট কিনা এবং সাইটের মেট্রিক্স দেখে নিতে ভুলবেন না।
৫৪.  No-follow লিংক  – লিংক সাধারনত ২ধরনের হয়।
I ) Do-follow লিংক
II ) No-follow লিংক
গুরুত্বের দিক থেকে  Do-follow লিংক সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ন। কারন লিংক শুধুমাত্র Do-follow হলেই লিংক জ্যুস পাস হয়। তাই বলে সাইটের সব লিংক কি Do-follow হবে?
উত্তর – না।
কারন গুগল যদি বুঝতে পারে আপনি সার্চ রেজাল্ট ম্যানিপুলেট করার ট্রাই করছেন। ম্যানিপুলেট বলতে টাকা দিয়ে লিংক কিনে আপনার ওয়েবসাইট লিংক করাতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার সাইট নির্ঘাত পেনাল্টি পাবে।
অনেকেই দেখি এভাবে চিন্তা করে, টাকা দিয়ে লিংক নিলে No-follow ক্যানো নিবো? এটা একটা মারাত্বক ভুল ধারনা। ব্যাকলিংক করার সময় মাথায় রাখতে হবে লিংক গুলো যেনো Do-follow এবং No-follow মিক্স হয়।
৫৫.  301 Redirect – বেশ কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি ওয়েবসাইট ধ্রুত র‌্যংক করার 301 Redirect বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এখানে কোনো একটা এক্সিস্টিং পেজকে রিলেভেন্ট অন্য কোনো পেজে পার্মানেন্টলিং রিডিরেক্ট করাকে 301 Redirect বলে। 301 Redirect এ কিছু সমস্যাও আছে। আপনি ঠিকভাবে 301 Redirectকরতে না পারলে ওয়েবাসাইট র‌্যাংক তো করবেই না বরং সাইটের র‌্যাংক ডাউন হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারনা না নিয়ে ওয়েবসাইটে  301 Redirect ব্যবহার করা উচিত না।
৫৬.  এ্যাংকর টেক্সট – র‌্যাকিং সিগন্যালের জন্য এ্যাংকর টেক্সটের গুরুত্ব অনেক। মূলত আপনার লিংকের টেক্সট (এ্যাংকর টেক্সট) দেখেই সার্চ ইঞ্জিন সহজে বুঝতে পারে আপনি কী ধরনের কীওয়ার্ডের র‌্যাংক চাচ্ছেন।
তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, এ্যাংকর টেক্সট যেনো ওভার অপটিমাইজ না হয়ে যায়।  তাহলে ওয়েবসাইটের পেনাল্টি পাওয়া প্রায় নিশ্চিত।
৫৭.  Country TLD রেফারিং ডোমেইন – কোন নিদৃষ্ট দেশে ওয়েবসাইটকে র‌্যাংক করানোর জন্য নেয়া লিংক গুলোর রেফারিং ডোমেইন যদি বেশিরভাগ ওই দেশের Country TLD হয় তাহলে সার্চ রেজাল্টে কিছুটা হলেও তার প্রভাব পড়ে।


ধরাযাক আপনি SEO India এই কীওয়ার্ডে র‌্যাংক করার জন্য চেষ্টা করছেন। এখন আপনি যে ব্যাকলিংক করছেন তার মধ্যে যদি রেফারিং ডোমেইর যদি  .in বেশি থাকে তারমানে গুগলের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট একে লিংক করছে তারমানে এই সাইট টা ইন্ডিয়া সম্পর্কিত। এভাবে গুগল আপনাকে ওই নিদৃষ্ট এরিয়াতে র‌্যাংক দিবে।
৫৮.   লিংকিং ডোমেইন রিলেভেন্সি – লিংকিং ডোমেইনের রিলেভেন্সি নিয়ে এই পোষ্ট ছাড়াও পূর্বের অনেক গুলো পোষ্টে কথা বলা হয়েছে।  আপনি যে ডোমেইন থেকে লিংক নিচ্ছেন সেই ডোমেইনটি আপনার নিশ রিলেটেড কিনা, কতটুকু রিলেভেন্সি আছে তা এখন সার্চইঞ্জিন গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখে।
ফিশিং নিসের সাইটে যদি আপনি  টেকনোলজি ব্লগ থেকে লিংক নেন সেটি রিলেভেন্ট হবে না। তবে ১০০% একুরেট হতে হবে ব্যাপার টা এমন ও না। আপনি চাইলে আউটডোর নিশের সাইট থেকে আপনার ফিশিং নিশ সাইটে লিংক নিতে পারেন।
৫৯.  নেগেটিভ / পজেটিভ লিংক ভেলোসিটি – লিংক ভেলোসিটি খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। প্রত্যেক SEO এক্সপার্টের ই এ ব্যাপারে ধারনা থাকা প্রয়োজন।  লিংক ভেলোসিটি ব্যাপার টা এমন যে,  একটা নিদৃষ্ট সময়ের মধ্যে আপনি আপনার সাইটের জন্য কিরকম ব্যাকলিংক করছেন।
ধরাযাক, রহিম একটা ওয়েবসাইট বানানোর পর প্রথম ১৫দিনে ৪০ টা ব্যাকলিংক করেছে এরপর ৩মাসে কোনো ব্যাকলিংক করেনি। এরপর আবার ৭দিনে ৪৫টা ব্যাকলিংক করেছে।
অন্যদিকে করিম একটা ওয়েবসাইট বানানোর পর  প্রতি মাসে ৫-৬ টা করে ব্যাকলিংক করছে। এখানে রহিমের লিংকবিল্ডিং স্ট্রেটেজিকে কে বলা যায় নেগেটিভ লিংক ভেলোসিটি এবং করিমের লিংকবিল্ডিং স্ট্রেটেজিকে কে বলাযায় পজেটিভ লিংক ভেলোসিটি।



৬০.  অথরিটি লিংক – যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্যই অথরিটি সাইট থেকে পাওয়া লিংকের গুরুত্ব সবসময়ই  বেশি। ১০ টা লো কোয়ালিটি লিংকের থেকে ১টা অথরিটি লিংকের ভ্যালু সব সময়ই বেশি। তবে নিশ সাইটগুলোর ক্ষেত্রে অথরিটি  সাইট গুলো বেশিরভাগ সময়ই কম্পিটিটর হয়ে থাকে। তারপর ও কম্পিটিটর বা অথরিটি যাই বলিনা কেনো এ ধরনের একটা সাইট থেকে প্রাপ্ত ১টা লিংক সার্চ রেজাল্টে আপনার ওয়েবসাইটকে অনেব বড় বুষ্ট দিতে পারে।
গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে ৫ম আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কমেন্ট বক্সে আপনারা আপনাদের মতামত জানান।
ধন্যবাদ সবাইকে

গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর – পর্ব ০৪

হাসান ব্লগ/ hasanblog/ talenthouse24

গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে ৪র্থ আর্টিকেলে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি মূলত একটি সিরিজ আর্টিকেল। এর আগে  যারা এখনো “গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে আমার  লেখা  ১ম , ২য় এবং ৩য়  আর্টিকেল টি পড়েন নি,  আশাকরি তারা এই সিরিজির আগের আর্টিকেল গুলো পড়ে নিবেন।
যদি আপনি আমার সাইটের রেগুলার ভিজিটর হয়ে থাকেন আমি ধরে নিতে পারি  “গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাকিং ফ্যাক্টর”  নিয়ে পূর্বের আর্টিকেল গুলো আপনি পড়েছেন। সর্বশেষ প্রকাশিত ৩টি  আর্টিকেলে আমরা গুগলের র‌্যাকিং সম্পর্কিত মোট ৪০ টি ফ্যাক্টর সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি।  আজকের আর্টিকেলেও আমরা গুরুত্বপূর্ন আরো ১০ টি র‌্যাকিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে ধারনা পাবো।
চলুন শুরু করা যাক….
৪১.  ব্রেডক্রাম্ব নেভিগেশন –  ব্রেডক্রাম্ব বলতে বোঝায় একটা ওয়েবসাইটের নিদৃষ্ট পেজের নির্দেশিকা। অর্থাৎ একটি নিদৃষ্ট পেজ বা পোষ্টের নেভিগেশন কে ব্রেডক্রাম্ব বলা যেতে পারে।
top-10-bd

Top10BD এই ওয়েবসাইটটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি নিদৃষ্ট পেজকে “হোমপেজ -> ক্যাটাগরি -> পেজ” ব্রেডক্রাম্ব দ্বারা নেভিগেট করা হয়েছে।  SEO বিষয়ক জনপ্রিয় পোর্টাল সার্চইন্জিন জার্নাল এবং ইথিকাল SEO এর দাবীমতে ব্রেডক্রাম্ব একটি র‌্যাকিং ফ্যাক্টর।

৪২. সাইট ইউজেবিলেটি/ইউজার ইন্টারফেস  – এটি খুব সাধারান ব্যাপার যে, কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর যদি আপনার সেটা খুব বেশি কমপ্লেক্স মনেহয় অর্থাৎ সাইটের ইউজার ইন্টারফেস যদি খারাপ হয় তাহলে গুগল ওই সাইটকে র‌্যাংক দেয় না। তাই সার্চ রেজাল্টে ভালো পজিশনে আসার জন্য ভালো ইউজার ইন্টারফেসের বিকল্প নেই।

৪৩.  ইউটিউব –  ইউটিউব গুগলের একটি সার্ভিস। কোনো কন্টেন্টে /আর্টিকেলে ইউটিউব ভিডিও থাকলে ওই কন্টেন্ট অন্য কন্টেন্ট/আর্টিকেলের থেকে তাড়াতাড়ি র‌্যাংক করে

৪৪.  ইউজার রিভিউ / সাইট রেপুটেশন –  র‌্যাকিং এর জন্য যে কোনো ওয়েবাসইটের রেপুটেশন অনেক গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে।  এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে Google, Yelp, RipofReport এর মত গুরুত্বপূর্ন ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের ভালো রিভিউ থাকলে সেটি র‌্যাংকি বুষ্টে সাহায্য করবে।


ব্যাকলিংক ফ্যাক্টর

সার্চরেজাল্টে কোনো ওয়েবসাইট র‌্যাংক করাতে যে ফ্যাক্টর গুলো আছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি এবং গুরুত্বপূর্ন হলো এই ব্যাকলিংক ফ্যাক্টর

৪৫.  লিংকি ডোমেইনের বয়স –  কোনো একটা ওয়েবাসইট থেকে আপনি যদি ব্যাকলিংক নিয়ে থাকেন তবে সেই ওয়েবসাইটের বয়সের উপর লিংকের ভ্যালু  অনেকটা নির্ভর হয়ে থাকে। ধরা যাক ২টি ওয়েবসাইট থেকে আপনার লিংক নেয়ার সুযোগ আছে। এর মধ্যে ১টি ওয়েবসাইটের বয়স ৩বছর অন্যটির ৬মাস। এখানে ৬মাস বয়সী ওয়েবসাইট থেকে ৩বছর বয়সী ওয়েবসাইট থেকে লিংক নিলে তার ফলাফল বেশি ভালো হবে।

৪৬.  লিংকিং ডোমেইনের অথরিটি/রেটিং – যে ওয়েবসাইট থেকে লিংক নিচ্ছেন তার বয়স বেশি হলেই যে ভালো শুধু তা কিন্ত নয়। বয়সের পাশাপাশি ডোমেইনের অথরিটিও এখানে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। ধরা যাক একটা ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি ৫০ আরেকটির ১৫। এখানে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে ১৫ অথরিটি ডোমেইনের থেকে ৫০ অথরিটির ডোমেইনের লিংকের ভ্যালু বেশি।
ডোমেইনের অথরিটি/রেটিং চেক করার জন্য বিভিন্নধরনের টুলস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফ্রি হিসেবে Moz এর লিংক এক্সপ্লোরার ব্যবহার করতে পারেন লিংক – https://moz.com/link-explorer

এর বাইরে যারা Ahrefs ব্যাবহার করেন তারা এটির ডোমেইন রেটিং ফিচার দেখে ডোমেইনের অথরিটি সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন।

৪৭.  ভিন্ন ভিন্ন আইপি থেকে লিংক নেয়া– শুধু লিংক করলেই সাইট সার্চ রেজাল্টে বুষ্ট করবে ব্যাপারটা এমন না। যদি এমন হয় আপনি ৩টা ওয়েবসাইট থেকে লিংক নিয়েছেন। কিন্ত সবগুলো ওয়েবসাইট একটি হোস্টিং কোম্পানীর আন্ডারে এবং সবার আইপি এক। তাহলে সে ওয়েবসাইট গুলোর লিংকের খুব বেশি ভ্যেলু থাকবে না। তাই নিশ্চিত করতে হবে লিংক নেয়া ওয়বেসোইটের আইপি যেনো ভিন্ন হয়।

৪৮.  .EDU .GOV ব্যাকলিংক – যারা SEO ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন তারা অণেকেই হয়তো পাকিস্তানের লুকমান খানের বিখ্যাত এফিলিয়েট ওয়েবসাইট 10beast.com এর কথা জানেন। এই ওয়েবসাইট টি ২০১৭সালের ডিসেম্বরে ৫মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয় (বাংলাদেশি টাকায় ৪২ কোটি টাকা)
লুকমান খান একটি শাক্ষাতকারে SEO স্পেশালিস্ট ম্যাট ডিগিটিকে তার 10beast.com ওয়েবসাইট টি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা দেন। এবং তিনি উল্লেখ করেন তার ওয়বেসাইটের র‌্যাংকিং বুষ্ট করার জন্য .EDU ডোমেইন খুবই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখেছিলো।

পুরো ইন্টারভিউ টি দেখতে পারেন এখান থেকে


তবে এটি নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে যে, এখনো.EDU লিংক কাজ করে কিনা। তবে ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনেকরি এটি এখনো কাজ করে।

৪৯.  টোটল লিংকিং ROOT ডোমেইন  –  ধরা যাক একটা সাইট  ৩০টা Root ডোমেইন থেকে লিংক পেয়েছে  আরেকটা ডোমেইন একই মানের ২০টা Root ডোমেইন থেকে লিংক পেয়েছে এক্ষেত্রে যেটা হবে। যে সাইটি বেশি ডোমেইর থেকে লিংক পেয়েছে সেটি আগে র‌্যাংক করবে। কারন আমরা জানি যে সাইটের অথরিটি যত বেশি সে সাইট গুগলে র সার্চ রেজাল্টের উপরে র‌্যাংক করে।

কিন্ত তাই বলে আপনি যেখানে খুশি সেখান থেকে লিংক নিতে পারবেন না। টোটল লিংকিং Root ডোমেইন যেমন গুরুত্বপূর্ন তেমনি লিংক রিলেভেন্সি থাকাটা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ন।

৫০.  লিংক রিলেভেন্সি – ২০১২ এর আগে একটা সময় ছিলো যখন স্পামিং লিংক,  বাজে এংকর এবং ওভার অপটিমাইজ কীওয়ার্ড দিয়ে আর্টিকেল দিয়ে সাইট র‌্যাংক করা হতো। কিন্ত ২০১১ এর ফেব্রুয়ারীতে পান্ডা আপডেট (https://moz.com/learn/seo/google-panda) এর পর বলাযায় SEO ব্যাপার টি আর আগের মত সহজ নেই।  আমরা আগের আর্টিকেল গুলো থেকে জেনেছি কোনো ওয়েবসাইট র‌্যাংক করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর হচ্ছে ব্যাকলিংক। কিন্ত সে লিংক হতে হবে রিলেভেন্ট।

ধরা যাক আপনি হোম এবং গার্ডেন নিশে সাইট বানাচ্ছেন কিন্ত ব্যাকলিংকের কোনো রিলেভেন্সি নেই। আপনার সাইটের অধিকাংশ লিংক ফিশিং কিংবা হান্টিং রিলেটেড ওয়েবসাইট থেকে। তাহলে যেকোনো গুগল আপডেটে এই সাইটের পেনাল্টি খাওয়ার সমূহ সম্ভবনা থাকে। তাই লিংক রিলেভেন্সির বিকল্প নেই। যদি আপনি বেবি নিশে সাইট করেন তাহলে চেষ্টা করতে হবে বেবি নিশের সাইট থেকে ব্যাকলিংক নেয়ার। অথবা  অন্য কোনো নিশ থেকে লিংক নিলেও সেটি যেনো আপনার নিশের সাথে রিলেভেন্ট কোনো পোষ্ট হয় এটা খেয়াল রাখতে হবে।

গুগলের গুরুত্বপূর্ন ৫০টি র‌্যাকিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি। যারা নতুন SEO নিয়ে কাজ করছেন আশাকরি তাদের জন্য আর্টিকেল গুলো উপকারে আসছে। খুব শীঘ্রই “গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাকিং ফ্যাক্টর” সম্পর্কিত ৫ম আর্টিকেলটি পাবলিশ করা হবে।
আর্টিকেল সম্পর্কিত আপনাদের যেকোন মতমত কন্টেন্টে জানতে পারেন, সময় নিয়ে আর্টিকেল টি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর – পর্ব ০৩



হাসান ব্লগ/ hasanblog/ talenthouse24




“গুগলের গুরুত্বপূর্ন র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে ৩য় আর্টিকেলে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি মূলত একটি সিরিজ আর্টিকেল। এর আগে যারা এখনো “গুগলের গুরুত্বপূর্ন র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে আমার লেখা ১ম এবং ২য় আর্টিকেল পড়েননি, আশা করি তারা এই সিরিজের আগের আর্টিকেলগুলো পড়ে নিবেন

গুগলের গুরুত্বপূর্ন র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর – পর্ব ০১

গুগলের গুরুত্বপূর্ন র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর – পর্ব ০২



সর্বশেষ ২টি আর্টিকেলে আমরা গুগলের র‌্যাকিং সম্পর্কিত মোট ৩০ টি ফ্যাক্টর সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি। এই আর্টিকেলেও আমরা গুরুত্বপূর্ন আরো ১০ টি র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে ধারনা পাবো। তাহলে শুরু করা যাক।


৩১. ইউজার ফ্রেন্ডলি লে-আউট

একটা সময় ছিলো যখন লাল-নীল-সবুজ-হলুদ সহ যত ধরনের রং আছে, সব ধরনের রং দিয়ে ওয়বেসাইট ডিজাইন করা হতো। অর্থাৎ সাইট টি ইউজার ফ্রেন্ডলি হল কিনা তা নিয়ে মাথা ঘামাতনা অনেকেই। তবে এখন এটি নিশ্চিত যে, ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসকে গুগল বেশ গুরুত্বপূর্ন র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করে। তাই SEO ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।
সাইট লেভেল ফ্যাক্টর
৩২. ডোমেইন ট্রাস্ট/অথরিটি

গুগল তখন ই একটি সাইটকে গুরুত্ব দেয়, যথন সাইটের ডোমেইন ট্রাস্ট বেশি থাকবে। ডোমেইন ট্রাস্ট বলতে এখানে ডোমেইনের ওভারঅল ভ্যালু / অথরিটিকে বোঝানো হয়েছে। মাথায় প্রশ্ন আসতেপারে, ডোমেইন ট্রাস্ট তাহলে কিভাবে বাড়বে? ডোমেইনের ট্রাস্ট / ওভারঅল ভ্যালু / অথরিটি যা ই বলিনা কেন, এটা বাড়ানোর একমাত্র পথ কোয়ালিটি ব্যাকলিংক।

আপনার ওয়েবসাইট যখন আপনার নিশ রিলেভেন্ট কোনো কোয়ালিটি সাইট থেকে ব্যাকলিংক পাবে, তা গুগলের কাছেও একটা সিগন্যাল হিসেবে যাবে, যে আপনার ওয়েবসাইটটিও ওই বিষয়ের একটি ওয়েবসাইট। এভাবে ধীরে ধীরে ব্যাকলিংকের মাধ্যমে ডোমেইনের ট্রাস্ট বাড়াতে হবে।


৩৩. সাইট আপডেট

পূর্বের ২ নম্বর আর্টিকেলের ১৭নম্বরের ফ্যাক্টরের সাথে এটির বেশ মিল আছে, ওখানে বলা হয়েছিলো কন্টেন্ট আপডেটের কথা। শুধু কন্টেন্ট ই না, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ওয়েবসাইট আপডেট করাটাও জরুরী। গুগল সবসময় চায় তার ভিজিটররা যেন একুরেট এবং আপডেট ডাটা পায়, মূলত এ কারনেই প্রতি মাসে মাসে গুগলের আপডেট আসে। সাইট আপডেট বলতে এখানে সাইটের থিম, প্লাগিন থেকে শুরু করে কন্টেন্টকেও বোঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত বোঝার জন্য আপনার গুগল ফ্রেশনেস এলগরিদম সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন এই আর্টিকেল থেকে।

https://www.searchenginejournal.com/google-algorithm-history/freshness-update/

এই সিরিজ আর্টিকেল গুলো লেখা শেষ হলে এবং আপনাদের থেকে ভালো সাড়া পেলে আশা করি গুগলের মেজর এলগরিদমগুলো নিয়ে একটি সিরিজ আর্টিকেল লিখবো।


৩৪. পেইজ সংখ্যা

র‌্যাকিং এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটে মোট কতগুলো পেজ আছে তা ও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে গুগল। আমরা এর আগের ফ্যাক্টরগুলোতে জেনেছি যে র‍্যাংকিং এর জন্য সাইটের অথরিটি একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে, সেক্ষেত্রে ১০ টি পেজ থাকা ওয়েবসাইটের তুলনায় ১০০ পেজ থাকা ওয়েবসাইটকে গুগল বেশি প্রায়োরেটি দেবে। কন্টেন্ট কোয়ালিটি খুব বেশি ভালো হলে অনেক ক্ষেত্রে কম পেজের ওয়বেসোইটও র‌্যাংক করে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাকলিংক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।


৩৫. সাইটম্যাপ

সাইটম্যাপ গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে খুব সহজেই আপনার সাইট ক্রল করতে সাহায্য করে। ওয়েবসাইটে সাইটম্যাপ রাখাটা জরুরী।






৩৬. Contact US পেজ

গুগল ওয়েবসাইটে “Contact us” পেজ রাখাকে প্রেফার করে। যাতে করে ভিজিটরের কোন প্রশ্ন থাকলে তা সে সহজে ওয়েবসাইট অথরিটি বা মালিককে জানাতে পারে।


৩৭. SSL

Secure Sockets Layer বা SSL কি হয়তো অনেকেই জানেন, যারা জানেননা তারা এই আর্টিকেলটি পড়ুন- https://www.digicert.com/ssl/

খুব সংক্ষেপে বললে Secure Sockets Layer বা SSL এক ধরনের সিকিউরিটি প্রোটোকল। পেমেন্ট ট্রাকজেকশন, ডাটা ট্রান্সফার, সোশ্যাল সাইটের সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন কাজে SSL ব্যবাহৃত হয়ে থাকে। সম্প্রতি গুগলের নিজস্ব ব্রাউজার ক্রোম, SSL ব্যতীত ওয়েবসাইটগুলোকে ভিজিট না করার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, গুগল তাদের যে কটি র‌্যাকিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে সবাইকে নিশ্চিত করেছে তার মধ্যে SSL একটি। অর্থাৎ সাইটকে ভালো অবস্থানে দেখতে হলে অবশ্যই ওই সাইটে SSL বা Secure Sockets Layer থাকা আবশ্যক। ইন্টারন্যাশনাল ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রোভাইডাররা SSL এর জন্য চার্জ করে থাকে। তবে ইদানিং লোকাল কিছু সার্ভিস প্রোভাইডার কে দেখা যাচ্ছে ফ্রিতেই এই সার্ভিসটি দিতে।


৩৮. Terms এবং Service পেজ

সাইটে Terms এবং Service পেজ থাকার মানে আপনার ওয়বেসোইটটাতে কি ধরনের সার্ভিস বা প্রোডাক্ট পাওয়া যায় এবং তাতে কি ধরনের Terms & Condition আছে সে সম্পর্কে ভিজিটরকে শুরুতেই ধারণা দিচ্ছেন, যা আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সহায়তা করে।


৩৯. ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট

একটি সাইটকে ধ্বংশ করার জন্য মাত্র ১টা ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট ই যথেস্ট। গুগল কপিরাইট ইস্যুতে খুবই কঠোর। আগে অনেকে ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট দিয়েও র‌্যাংক করতো, কিন্ত গুগল এখন আগের থেকে অনেক স্মার্ট। আমি ব্যক্তিগতভাবে কন্টেন্ট নিজে লেখার পক্ষে। তবে কোনভাবেই যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে কন্টেন্ট রাইটারের থেকে কন্টেন্ট ডেলিভারি নেয়ার সময় ভালো প্লাগারিজম চেকার সফটওয়ার দিয়ে কন্টেন্ট চেক করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আমি CopyScape প্রেফার করি। তবে এটি একটি পেইড টুল।

ম্যানুয়ালী ও এটি চেক করা যায়। একটি লাইন নিয়ে তার শুরুতে এবং শেষে “” বসিয়ে সার্চ দিলে যদি কোন রেজাল্ট আসে, তার মানে এটা প্লাগারাইজ কন্টেন্ট।


৪০. মোবাইল ফ্রেন্ডলি

গুগলে র‌্যাকিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর হলো ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ হওয়া। কারন USA তে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপের থেকে মানুষ এখন বেশি মোবাইল থেকে সার্চ করে। তাই আপনার ওয়েবসাইট যদি মোবাইল ফ্রেন্ডলি না হয়, তবে গুগল মোবাইল সার্চ থেকে আপনার সাইটকে র‌্যাংক দিবেনা। যার ফলে আপনি ভিজিটর হারাবেন। যারা মোবাইল ফাস্ট ইন্ডেক্স সম্পর্কে জানেননা তারা এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

https://www.searchenginejournal.com/mobile-first-index-actually-mean/178017/



আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা তা গুগলের নিজস্ব একটি টুল ব্যবহার করেই আপনি নিশ্চিত হতে পারেন। এই লিংকে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিলে গুগল আপনাকে জানাবে আপনার সাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা।

https://search.google.com/test/mobile-friendly



আজ এখানেই শেষ করছি। চেষ্টা করব খুব শীঘ্রই “গুগলের গুরুত্ব পূর্নর‌্যাকিং ফ্যাক্টর” সম্পর্কিত ৪র্থ আর্টিকেলটি পাবলিশ করার জন্য।

আর্টিকেল সম্পর্কিত আপনাদের যেকোন মতমত জানতে পারেন কন্টেন্টে, আমি আপনাদের প্রতিটি কমেন্ট ই গুরুত্ব সহকারে পড়ি এবং রিপ্লে দেয়ার চেষ্টা করি।

গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর – পর্ব ০২

hasanblog
image

হ্যালো!!! “গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে ২য় আর্টিকেলে সবাইকে স্বাগতম। যারা এখনো “গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে আমার ১ম আর্টিকেল টি এখনো পড়েন নি, তারা আগে এটি পড়ে নিতে পারেন।
​এর আগের আর্টিকেলে আমরা গুগলের ডোমেন লেভেল এবং পেজ লেভেল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি, এখন আমরা পেজ লেভেল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর এর বাকি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা শুরু করবো।
​চলুন শুরু করা যাক…

​১৬.  ইমেজ অপটিমাইজেশন

​আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন,  সার্চ রেজাল্টে ইমেজ থেকেও প্রচুর পরিমান ভিজিটর ওয়েবসাইটে আসে। তাই কন্টেন্ট এর ইমেজ ঠিক ভাবে অপটিমাইজ হওয়া চাই। ইমেজ ঠিকভাবে অপটিমাইজ করাও গুগলের র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করে। 
​আপনাদের আগ্রহ থাকলে ইমেজ ​অপটিমাইজশেন নিয়ে বিস্তারিত একটা আর্টিকেল লিখবো ভবিষৎ এ, আশাকরি কমেন্ট এ মতামত জানাবেন।

​১৭.  কন্টেন্ট আপডেট

​গুগল সবসময় চায় তার ভিজিটর দের একুরেট ইনফরমেশন দিতে। এজন্য কন্টেন্ট আপডেট করা জরুরী। ধরাযাক আপনি ৩ বছর আগে একটা বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখেছেন, আপনি যদি মাসখানেক পর পর নতুন কিছু ইনফরমেশন এবং আপডেট আর্টিকেলে এড করেন এটা গুগল পছন্দ করে। কন্টেন্ট আপডেট করা গুগলের একটি ​প্র্রুভেন র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর। 

​১৮.  কী-ওয়ার্ড প্রমিনেন্স

একটি ওয়েব পেজের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আপনার কাংখিত কী-ওয়ার্ডটি বসানোকেই  কী-ওয়ার্ড প্রমিনেন্স (Keyword Prominence) বলা হয়।
অর্থাৎ, আপনি পেজের/পোষ্টের লেখা শুরুর ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে আপনার মেইন কী-ওয়ার্ডটি বসিয়েছেন কিনা অথবা, পেজের হেডিং ট্যাগ এ কী-ওয়ার্ড আছে কিনা এগুলি লক্ষ্য রাখাই  কী-ওয়ার্ড প্রমিনেন্স।

​১৯.  আউটবাউন্ড/এক্সটারনাল লিংক

​একটি সাইটের মধ্যে ইনবাউন্ড বা ইন্টারনাল লিংক থাকা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি আউটবাউন্ড বা এক্সটারনাল লিংক থাকাটাও দরকার। 
কিন্তু, অনেকেই এক্সটারনাল লিংক করতে উৎসাহী হন না। মনে করেন যে, এক্সটারনাল লিংক করলে আমার সাইটের জন্য কোনো লাভ হয় না।
তবে বর্তমানে এ ধারনাটি গুগল পাল্টে দিয়েছে। আপনার সাইটে ইন্টারনাল লিংক থাকার পাশাপাশি এক্সটারনাল লিংকও থাকাটা জরুরী। এতে করে আপনার সাইটরে প্রতি ভিজিটরদের এবং গুগলের ট্রাষ্ট বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি একজন ইউজারকে আরো তথ্যবহুল একটি সাইটে নিয়ে যেতে পারেন সেটা অনেক ভালো আপনার ট্রাষ্ট বৃদ্ধি করার জন্য। 

​২০.  গ্রামার এবং স্পেলিং

​আর্টিকেলের গ্রামার এবং স্পেলিং মিসটেক ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং এ ভূমিকা রাখে।  যেহেতু গুগল এখন সার্চ রেজাল্টে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহার করছে, তাই এ ধরনের ছোটখাটো ভুলগুলো গুগল এলাউ করে না। অর্থাৎ আপনার আর্টিকেলে যদি গ্রামার বা স্পেলিং ​মিসটেক থাকে তবে তা সাইটের এবং গুগলের উভয়ের জন্যই নেগেটিভ ভুমিকা পালন করবে।
এটি আমার অনেক পছন্দের একটি টুল, আপনারা চাইলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন: 

​২১.  মাল্টিমিডিয়া

​মানুষ পড়ার চেয়ে দেখতে বা শুনতে পছন্দ করে। গুগল ও প্রেফার করে কন্টেন্টের মধ্যে ইমেজ, ভিডিও, অডিও এগুলো  রাখার জন্য। যেহেতু একজন ভিজিটর কত সময় সাইটে থাকছে এটা গুরুত্বপূর্ন র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই ইমেজ, ভিডিও কিংবা অডিওর মত মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্টে এড করলে ভিজিটর বেশি সময় সাইটে থাকবে। যেটা সাইটের র‌্যাংকিং বাড়াতে সাহায্য করবে।

​২২.  ইন্টার্নাল লিংক

কিছুদিন আগেই আমি ব্যাকলিংক (Backlink) নিয়ে বিস্তারিত একটি কন্টেন্ট আমার সাইটে পাবলিশ করেছি। যেখানে ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।
তবুও বলছি, ​ইন্টারনাল লিংক (Internal Link): আপনি যখন একটি ওয়েবসাইটের ভিতরের একটি পেজের/পোষ্টের সাথে অপর পেজের/পোষ্টের লিংক করবেন তখন তাকে ইন্টারনাল লিংক বলে। একে Inbound Link ও বলে। এটি আপনার সাইটের সকল পেজের/পোষ্টের মধ্যে লিংক জুস সঠিক ভাবে পাস হতে সাহায্য করে, যার ফলে আপনার সাইটটি গুগলে র‌্যাংক পেয়ে থাকে।

​২৩.  ব্রোকেন লিংক

​ব্রোকেন লিংক কিংবা ডেড লিংক একই জিনিস। ​মনে করুন আপনি আপনার সাইটের একটি পেজের সাথে আর একটি পেজের ইন্টরনাল লিংক করেছেন। পরবর্তীতে, কোনো এক সময়ে আপনি রিংক করা পেজটিকে ডিলিট করে দিয়েছেন বা URL টি পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তাহলে এখন আর ঐ এ্যাংকর টেক্সটিতে ক্লিক করলে কাংখিত পেজের পরিবর্তে 404 Error  দেখাচ্ছে, এটিই ব্রোকেন লিংক। 
​এটি আবার এক্সটারনাল লিংকের ক্ষেত্রেও হতে পারে। 
যেমন ধরুন, আপনি যে পেজের সাথে এক্সটারনাল লিংক করেছেন ঐ পেজটি এখন আর লাইভ নেই, তাহলে তখন ঐ লিংকটিকেও ব্রোকেন লিংক বলে।
​একটি সাইটের জন্য ব্রোকেন লিংক থাকা কখনই ভালো নয়। আপনার উচিত এই লিংকগুলিকে 301 Redirect করে দেয়া রিলিভেন্ট পেজের সাথে।
  • ​ব্রোকেন লিংক চেকার গুগল ক্রম এক্সটেনশন: Check My Link

​২৪.  রিডিং লেভেল (রিডেবিলেটি)

​একটা কন্টেন্ট পড়া কতটা সহজ বা কঠিন এটা বোঝার জন্য রিডিং লেভেল (রিডেবিলেটি)  টেস্ট করা হয়। অনলাইন মার্কেটার এবং SEO এক্সপার্টরা সবসময় ই বলে থাকেন কন্টেন্ট সবসময় সহজ ভাবে লিখতে। যাতেকরে একজন PHD হোল্ডার এবং হাইস্কুল  পড়ুয়া স্টুডেন্ট ২জনই যেন আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পারে। 
​​আর্টিকেলে আপনি অনেক কমপ্লেক্স ওয়ার্ড ব্যবহার করলেন।একজন PHD হোল্ডার / ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট আর্টিকেল টি বুঝতেপারলেও হাইস্কুল পড়ুয়া একজন স্টুডেন্ট এর পক্ষে আর্টিকেলের কিছু শব্দ বোঝা কঠিন হয়ে যাবে। তাহলে সে আর আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী হবে না। যেহেতু “একজন ভিজিটর সাইটে কতক্ষন থাকছে এটা গুগলের চোখে গুরুত্বপূর্ন” তাই বলা যায় আর্টিকেলের রিডিং লেভেল গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করে।
​আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে দেথতে পাবেন যে, Yoast SEO Plugin এর মধ্যে একটি অপশন আছে রিডেবিলিটি।
​আপনি চাইলে এই টুলটিও ব্যবহার করে দেখতে পারেন:  Hemingway Editor
​আমি চেষ্টা করি হ্যামিংওয়ে টুল এ আমার আর্টিকেলের রিডেবিলেটি গ্রেড ৫-৬ এর মধ্যে রাখতে। সাইট টা নিয়ে আরেকটু ঘাটাঘাটি করলে আরো মজার কিছু ব্যাপার সম্পর্কে ধারনা পাবেন আশাকরি।

​২৫. URL Length

​খুব বড় URL লেংথ ওয়েবসাইট র‌্যাংকিং এর জন্য নেগেটিভ রেজাল্ট দেয়। তাই আপনার উচিত URL যতটা সম্ভব ছোট রাখা। এবং কখনই URL ৫০ ক্যারেক্টারের বেশী না যাওয়া, এটি ম্যাক্সিমাম।

​২৬. URL এ কী-ওয়ার্ড থাকা

​URL এ কীওয়ার্ড থাকাটা র‌্যাংকিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। মূলত গুগল যে যে যায়গা গুলো থেকে র‌্যাংকিং এর জন্য সিগন্যাল নেয় URL তার মধ্যে অন্যমত। আপনি URL এ যদি ফোকাস কীওয়ার্ড না রাখেন তবে গুগলের কাছে কনফিউশন ক্রিয়েট হবে যে আপনি কি কীওয়ার্ড এ র‌্যাংক করতে চাচ্ছেন। 
​URL সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে: URL Structure Rules পড়ে দেখতে পারেন।

​২৭. রেফারেন্স / সোর্স 

​আমরা সচারচর আর্টিকেলে রেফারেন্স কিংবা সোর্স উল্লেখ করি না। অনেকসময় ই গুগল থেকে ইমেজ নিয়ে কোন কার্টেসি ছাড়া ব্যবহার করি। এর পিছনে প্রধান যে কারন টা কাজ করে তা হলো লিংক দিতে ভয় পাওয়া। এটা একটা ভুল প্র্যাকটিস। “গুগল কোয়ালিটি গাইডলাইন” অনুযায়ী যেকোনো আর্টিকেল বিশেষ করে রিসার্চ টাইপের আর্টিকেলে রেফারেন্স বা সোর্স উল্লেখ করে দেয়াটা পজেটিভ সাইন হিসেবে বলা হয়েছে।

​২৮. সাইটম্যাপে  অবস্থান

​এটা যদিও কোন প্রুভেন সাইন না। তবে মনে করা হয় সাইটম্যাপের শুরুর দিতে থাকা পেজগুলো গুগল আগে ইনডেক্স করে। বলা হয়, সাইটম্যাপে উপরে থাকা পেজের র‌্যাংক পাওয়া নিচের দিকে থাকা পেজের তুলনায় সহজ। 
​ছোট সাইট যেমন ৫০০ পেজের কম সাইটের জন্য সাইট ম্যাপ ব্যবহার করা এতটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু না।

​২৯. র‌্যাংক করা অন্য কীওয়ার্ড এর কোয়ালিটি

​মেইন কীওয়ার্ড এ র‌্যাংক করার জন্য গুগল সিমিলার অন্য কীওয়ার্ড গুলো খেয়াল করে। যদি মনে করি আপনার কিচেন নিশে একটা সাইট আছে যেখানে আপনি কিচেন রিলেটেড প্রোডাক্ট নিয়ে লেখালেখি করেন। এখানে, ধরে নেয়াই যায় তাহলে আপানার এই নিশের রিলেভেন্ট  কিছু কীওয়ার্ড এ আপনি আগে থেকেই র‌্যাংক করে আছেন। এই মুহুর্তে নতুন আর্টিকেলের জন্য  র‌্যাংক করাটা সহজ হয়ে যাবে।

​ ৩০.পেজের বয়স

​এটি অনেক গুরুত্বপূর্ন।  গুগলে র‌্যাংক করার জন্য পেজ এর বয়স কিছুটা ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে শুরুর দিকে গুগল একটা পেজ বা ওয়েবসাইট কে বোঝার জন্য হলেও কিছুটা সময় নেয়। তবে পেজের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সময় টা কম লাগে। কারন ততদিনে গুগলের চোখে আপনি অথরিটি সাইট হিসেবে নিজেকে প্রমান করতে পেরেছেন।
​“গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর” নিয়ে ২য় আর্টিকেল টি এখানেই শেষ করছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই গুগলের  গুরুত্বপূর্ন র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর - পর্ব ৩ আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে। আপনারা কমেন্ট বক্সে মতামত জানাবেন। ​
হাসান ব্লগ